কলকাতা: দীর্ঘ দিন ধরেই আদালতে বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁদের৷ সেই ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে বেহালার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ তার পর আর সেমুখো হননি প্রাক্তন মেয়র৷ গোলপার্কের একটি বিলাসবহুল আবাসনে সিঁথিতে সিঁদুর পরানো বান্ধবীর সঙ্গেই থাকেন তিনি৷ এদিকে, স্ত্রী রত্নার সঙ্গে যতবারই মুখোমুখি হয়েছেন,ততবারই ঘটেছে অশোভন কাণ্ড৷ একে অপরের দিকে কাদা ছুড়েছেন তাঁরা৷ আবারও প্রকাশ্যে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন শোভন এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়। অকুস্থল সেই আদালত চত্বরে।
শনিবার বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় আলিপুর আদালতে হাজির হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, মামলার শুনানিতে হাজির হন রত্নাও৷ শুনানি পর্বের মাঝেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে একে অপরের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়েন শোভন-রত্না। সেই সময় পাশেই ছিলেন বৈশাখী। তিনি অবশ্য নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। এই ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আজবিকেল.কম।
প্রতক্ষদর্শীদের দাবি, শুরুতে নরম স্বরেই কথা বলছিলেন শোভন-রত্না৷ অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগের দাপটে আচমকাই ফেটে পড়েন দু’জনে। আদালত চত্বরেই তারস্বরে চিৎকার জোড়েন তাঁরা৷ সেই সঙ্গে পরস্পরকে তীব্র আক্রমণ শানান দু’জনে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, শোভনের অভিযোগ ছিল, তাঁর অনেক কিছু এখনও দখল করে রেখেছেন রত্না ও তাঁর পরিবার। পাল্টা রত্না বলেন, গোলপার্কের যে আবাসনটিতে শোভন ও বৈশাখী থাকে, সেটি তাঁর ভাই শুভাশিস দাসের নামেই রয়েছে।
দু’জনের অশান্তি চরমে পৌঁছতেই এগিয়ে আসেন শোভনের নিরাপত্তারক্ষীরা। রত্নাকেও শান্ত হতে বলেন তাঁর আইনজীবী ও অনুগামীরা। কিন্তু কাউকেই থামানো যায়নি। প্রায় মিনিট ১৫ সেই ঝগড়া চলার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে দু’পক্ষকেই সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷