‘টাকাটা সাধারণ মানুষের জন্য, দলের সদস্যদের জন্য নয়, আবাসের বরাদ্দ নিয়ে খোঁচা স্মৃতির

‘টাকাটা সাধারণ মানুষের জন্য, দলের সদস্যদের জন্য নয়, আবাসের বরাদ্দ নিয়ে খোঁচা স্মৃতির

5a3a81d39ea2e153f9f80fa6dc842160

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই আবাস যোজনা নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে৷ সত্য অনুসন্ধানে জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে। তাতে গরমিলও ধরা পড়েছে। এবার আবাস প্রকল্পের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি৷ শনিবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৬৬ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। রাজ্য সরকার তা যেন সাধারণ মানুষের জন্যই খরচ করেন, নিজের দলের সদস্যদের জন্য নয়।”

আরও পড়ুন- অর্পিতার ফ্ল্যাটে কি কুন্তলের টাকাও ছিল? জল্পনা বাড়ছে

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করে মোদী সরকার। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল, স্বল্প খরচে প্রত্যেক দরিদ্রের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত দরিদ্রকে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। তাই এবারের বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা  আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা৷ সেই মতোই বরাদ্দ বাড়ানো হয়৷ 

যদিও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, ‘‘আবাস যোজনার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। ২০১৮ সার্ভে করা হয়েছিল৷  যাদের বাড়ি নেই, তাদের বাড়ির জন্য টাকা দেওয়ার বিষয় এটা। পশ্চিমবাংলায় তো সেগুলো ভালভাবেই রূপায়িত হচ্ছে। এসব না জেনে কথা বলে লাভ নেই।”

শাসকদলের সদস্য না হলেই আবাস যোজনার তালিকা থেকে কাটা যাচ্ছে নাম৷ এমন অভিযোগ রাজ্যে ভূরি ভূরি৷ অভিযোগ এমনও যে, শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির একাধিক সদস্যর নাম আবাস তালিকায় আছে, অথচ বাদ পড়েথে প্রকৃত দাবিদারের নাম৷ 

রাজ্যে আবাস যোজনার আওতায় ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১১ লক্ষেরও বেশি বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আবাস তালিকার ক্ষেত্রে এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ডেডলাইন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরে তা বাড়ানো হয়।