কলকাতা: রাজ্যে ভোটের মুখে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মচারী কিংবা চাকরিপ্রার্থীদের অসন্তোষ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একদিকে যখন প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন টেট পরীক্ষার্থীরা, অন্যদিকে তেমনি জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করছেন পার্শ্ব শিক্ষক, মাদ্রাসা শিক্ষক তথা শিক্ষাকর্মীরা। এহেন আবহেই এবার ফের অনশনের ডাক দিলেন এসএলএসটি উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও।
স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট আয়োজিত হয়েছে ২০১৬ সালে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অপেক্ষমান তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এর আগেও সরকারের বিরুদ্ধে অনশনে বসেছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে সেই অনশনে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়ায় দু’বছর পর ফের অনশনের রাস্তাই বেছে নিলেন এসএলএসটি প্রার্থীরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে কলেজ স্ট্রিট এবং সল্টলেকে অনশনে বসেছেন চাকরিপ্রার্থী শিক্ষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের দাবি মেটানো হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। ঠিক কী কী দাবি তাঁরা সরকারের সামনে তুলে ধরেছেন? সূত্রের খবর, এক চতুর্থাংশ অনুপাত মেনে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ এবং প্যানেলে স্বচ্ছতা ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন এসএলএসটি আন্দোলনকারীরা।এছাড়া, এসএমএসের মাধ্যমে নিয়োগের বিরোধিতাও করেছেন তাঁরা।
বস্তুত, ২০১৯ সালে এই এসএলএসটি উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অনশন চলেছিল টানা ২৯ দিন। তাঁদের আন্দোলনে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং অনশন কেন্দ্রে হাজির হয়ে আশ্বাস দিলে তাঁরা অনশন ভঙ্গ করেন। কিন্তু অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর দু’বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি।