কলকাতা: বুধবার কোচবিহারের শীলতকুচি কেন্দ্রের বিজেপি সমর্থকের হয়ে প্রচার সেরে ফেরার সময় আক্রান্ত হন বঙ্গ বিজেপি’র সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়৷ বোমাবাজি করা হয়৷ তাঁর গাড়িতে দুটি বোমা পড়েছে বলে অভিযোগ৷ বোমা পড়েছে কনভয়ের অন্য গাড়িতেও৷ এবার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ১৬ জনকে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়েছে। গতকাল শীতলকুচিতে এই ঘটনা ঘটার পর ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিভিন্ন থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকরা। অবশেষে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ১৬ জনকে।
যদিও বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকদের দাবি করছে যে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ছাড়াও অনেকে এই হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাই সকলকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। তবে আপাতত কোচবিহার জেলা প্রশাসনের কাছে নির্বাচন কমিশন এই ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে। বুধবারের এই ঘটনায় দিলীপ জানান, ‘‘আমি চোট পেয়েছি৷ বাম হাতে আঘাত লেগেছে৷ বোমা, ইঁট নিয়ে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা৷ এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘এর আগেও আমার উপর হামলা হয়েছে৷ কিন্তু আজ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল৷ সভা শেষ হওয়ার পর বোমা, বন্দুক নিয়ে আক্রমণ হয়েছে৷ তালিবানদের মতো অবস্থা। মানুষের জীবনের কোনও নিরাপত্তা নেই৷’’
আরও পড়ুন- ‘আমার বুকের পাটায় সেই জোর আছে, একা করতে দিইনি!’ NRC-NPR প্রসঙ্গে মমতা
দিলীপের আরও বক্তব্য ছিল, ‘‘পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে৷ নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রশাসন থাকাকালীন এই রকম হামলা এই প্রথম হল৷ তৃণমূলের ঝাণ্ডা হাতে আক্রমণ করা হয়েছে৷ তাদের হাতে বন্দুকও ছিল৷ নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপ না করলে কোচবিহারে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না৷ আমার রাজনৈতিক জীবনে এটা চরম অভিজ্ঞতা৷’’ প্রসঙ্গত, এর আগেও দার্জিলিং, খড়গপুর-সহ একাধিক জায়গায় তাঁর কনভয়ে হামলা হয়েছে৷