ঘাসফুলে ঝরল শিশির! শাহী-সভায় পদ্মবাগানের কাঁথির তৃণমূল সাংসদ!

দলবদল বিষয়ে বিশেষ রাখঢাক করেননি শিশির অধিকারী

এগরা: জল্পনা চলছিলই, খুব বড় কোনো পরিবর্তন হওয়ার সুযোগও ছিল না। প্রত্যাশা মতোই ছেলের দেখানো পথে হাঁটলেন শিশির অধিকারীও। অমিত শাহের সভায় উপস্থিত হয়ে অবশেষে হাতে তুলে নিলেন গেরুয়া পতাকা। ভোটের আগে নন্দীগ্রাম তথা মেদিনীপুরের রাজনীতির ক্ষেত্রে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে বড়সড় তাৎপর্য বহন করবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

ভোটের আগে বাংলা জুড়ে পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ, পশ্চিমবঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন সকলেই। অমিত শাহের রবিবাসরীয় সভায় যোগ দেওয়ার জন্য আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীকে। সেই অনুযায়ী ভারতীয় জনতা পার্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম লেখালেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

আজ থেকে প্রায় তিন মাস আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এমনই এক সভায় হাজির হয়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের এক সময়ের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরে তাঁর পরিবারের সকলেই ছিলেন ঘাসফুল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু একে একে ঝরতে থাকে সব পালক। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরেই শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাঁর নিজের বাড়িতেও তিনি পদ্মফুল ফোটাবেন। আজ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার দিন ছয়েক আগে মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারে ফুটল আরো এক পদ্ম।

শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পরেঈ অধিকারী পরিবারকে নিয়ে সতর্ক হয়েছিল তৃণমূলও। ৮৪ বছর বয়সী শিশির অধিকারীকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের নানা দায়িত্ব থেকে সরানো হয় বয়সের কারণ দেখিয়ে। তারপর থেকে দলবদলের বিষয়ে আর তেমন রাখঢাক করেননি কোনো পক্ষই। “বাংলার শিক্ষিত বেকারদের জন্য লড়াই করব। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি”, গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে সভা মঞ্চ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন প্রবীণ নেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + 17 =