নিউইয়র্কে করোনার ভয়! ইউএস ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার সিমোনা হালেপের

মার্কিন মুলুকে, বিশেষ করে নিউইয়র্কে কোভিড-১৯ সংক্রমণে এখনও রাশ টানা যায়নি। ইউরোপের দেশগুলি যখন লকডাউন করে ছন্দে ফিরেছে আমেরিকার চিত্র তেমন নয়। বাধ্য হয়েই তাই ইউএস ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন একের পর এক তারকা প্লেয়ার।

রোমানিয়া: করোনা অতিমারির জেরে থমকে গিয়েছিল তামাম দুনিয়ার জনজীবন। বেঁচে থাকাই যেখানে সংশয়ের সেখানে খেলাধুলো অবশ্যই বাতুলতা বলে ধরে নেওয়া যায়। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বজুড়ে সমস্ত ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। ফুটবল, ক্রিকেটের মতো জনপ্রিয় টেনিস খেলাতেও একই চিত্র দেখা গিয়েছিল। ফলস্বরূপ বাতিল হয় ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ঐতিহ্যবাহী উইম্বলডন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় আবার শুরু হয়েছে খেলা। সমস্ত রকম সতর্কতা নিয়েই শুরু হতে চলেছে ইউএস ওপেন।

এই মুহূর্তে মেয়েদের মধ্যে বিশ্বের দু' নম্বর সিমোনা হালেপ। 

চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের একটি হল এই ইউএস ওপেন যা নিউইয়র্ক শহরে অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহ্যের দিক থেকে উইম্বলডনের সমকক্ষ না হলেও জাঁকজমক এবং পুরস্কার মূল্যে সবার সেরা এই প্রতিযোগিতা। কিন্তু মার্কিন মুলুকে, বিশেষ করে নিউইয়র্কে কোভিড-১৯ সংক্রমণে এখনও রাশ টানা যায়নি। ইউরোপের দেশগুলি যখন লকডাউন করে ছন্দে ফিরেছে আমেরিকার চিত্র তেমন নয়। বাধ্য হয়েই তাই ইউএস ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন একের পর এক তারকা প্লেয়ার। এই তালিকায় নবতম সংযোজন বিশ্বের দু' নম্বর সিমোনা হালেপ। গতকালই টুইটারে নিউইয়র্ক না আসার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন এই মহিলা টেনিস খেলোয়াড়টি।

অতি সতর্কতার সঙ্গে শুরু হতে চলেছে ইউএস ওপেন। 

সিমোনা টুইট করে লিখেছেন, 'যে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে আমরা বেঁচে আছি, তার সমস্ত দিক তুল্যমূল্য বিচার করে আমি নিউইয়র্কে গিয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি বরাবর আমার শরীর-স্বাস্থ্যকে সব সিদ্ধান্তের কেন্দ্রে রেখেছি। আমি ঠিক করেছি ইউরোপে থেকেই অনুশীলন চালিয়ে যাব। আমি নিশ্চিত ইউএস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন এবং বিশ্ব টেনিস অ্যাসোসিয়েশন এই ইভেন্টকে নিরাপদ রাখতে নিরলস পরিশ্রম করেছে তাই সবার সাফল্য কামনা করছি।' অর্থাৎ সিমোনা নিজে নিউইয়র্কে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এর আগেও একগুচ্ছ খেলোয়াড় আমেরিকা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বের এক নম্বর অ্যাশলে বার্টি, গতবারের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু, এলিনা সিতোলিনা, কিকি বার্তেনস এবং বেলিন্ডা বেনচিচ।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =