পঞ্জাব: খেলা জমে গেছে পঞ্জাবে। খেলা চলছে স্লগ ওভারে। ব্যাট হাতে নভজত সিংহ সিধু। বল হাতে, মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। দিল্লি থেকে আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করছে কংগ্রেস। তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছেন রাহুল এবং সোনিয়া গান্ধী।
বিভিন্ন সূত্রের খবর, সিধুর দিকেই ঝুঁকে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্য পার্টির ক্ষমতা সিধুর হাতেই আসতে চলেছে। কিন্তু চুপ করে বসে থাকবেন কি ক্যাপ্টেন …? “কখনই নয় …।” বলছে তার ঘনিষ্ট মহল। সূত্রের খবর, ক্যাপ্টেনের সঙ্গে রয়েছেন ডজন খানেক এমপি, এমএলএ।
অনেকে বলছেন এই সিধুই পাকিস্তানে গিয়ে জেনারেল বাজওয়াকে জড়িয়ে ধরেন। ২০১৮ সালে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সেই দৃশ্য এখন মনে আছে। সেই সিধুকে কী বিশ্বাস করা যায়। ২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যাত্রাপথ শুরু করেন সিধু। কিন্তু শুরু থেকেই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে তার অম্ল মধুর সম্পর্ক বজায় ছিল। ২০১৯-এ ক্যাপ্টেনের মন্ত্রিসভা ছাড়েন সিধু। অনেক মন্ত্রী, এমএলএ, এমপি-রা ক্যাপ্টেনের প্রশাসনকে পরিচালনা করার পদ্ধতিকে পছন্দ করছিলেন না। তারা সিধুর দিকে ঝুঁকে পড়েন। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস হাই-কমান্ডেরও সিধুর প্রতি সমর্থন রয়েছে।
এর আগে এআইসিসি তিন সদস্যের কমিটি করে ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ দিল্লিতে বসে খতিয়ে দেখছে। সেই প্যানেলের সামনে বসে নিজের বক্তব্য বলেছেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু, গান্ধী পরিবারের কেউ তার সঙ্গে দেখা করেননি। তবে নাম না প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমে এক কংগ্রেস নেতার বিবৃতি বেরিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের মানুষ ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে দেখে ভোট দিয়েছেন। সোনিয়া, রাহুল গান্ধীকে দেখে নয়। ওই ৭৯ বছরের বৃদ্ধ মানুষটিকে কংগ্রেস অপমান করলে মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না। সিধু এখানে কংগ্রেস রাজ্য প্রধান হয়ে এলে অনেকেই থাকবে না।