কলকাতা: রবিবার সকালে তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে কয়লাকাণ্ডে নোটিস দিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই এই ঘটনার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক ইস্যুতে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতারা। ম্যাডাম নারুলা থেকে ফাঁসিতে চড়ার প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল যুব সভাপতিকে বিঁধে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
শুক্রবার সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সিবিআই তদন্তে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি৷ উল্টে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, ‘‘কয়লা মাফিয়া লালা ওরফে অনুপ মাজির তোলার টাকা সরাসরি যেত তাঁরই থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে৷’’ পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নারুলা ম্যাডাম আর কেউ নয়। ওটা ওনার স্ত্রী৷” নারুলা ম্যাডামের চেহারা দিনে দিনে স্পষ্ট হবে বলেও জানান শুভেন্দু৷ এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফাঁসিতে চড়ার মন্তব্যকে কটাক্ষ করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “কেউ যেন একদিন বলেছিল ফাঁসিতে চড়বে৷” তবে তিনি এও বলেন, “ফাঁসি আমি চাইনা। শুধু দোষীদের শাস্তিই চাই৷”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই সমনের প্রসঙ্গে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “এইসব নাম তো আমি আগেই বলেছিলাম। তখন আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। এখন সবটা পরিষ্কার হচ্ছে৷” পাশাপাশি বাবুল এদিন বলেন, “কেন্দ্রীয় এইসব তদন্তকারী সংস্থাগুলি হাতে যথেষ্ট প্রমাণ নিয়েই তদন্তে নামে। এই প্রমাণ আদালতে পেশ হলেই দুর্নীতির কানে টান পড়বে। আর কোন টানলেই বেরিয়ে আসবে মাথা৷”
উল্লেখ্য, রবিবার তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে কয়লাকাণ্ডে তাঁর স্ত্রীকে একটি নোটিস দিয়ে আসনে সিবিআইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার পরর দিনভর রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তার জেরেই বাড়ানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি এবং তার পরিবারবর্গের নিরাপত্তা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসেই একটি সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে, গরুপাচার কাণ্ডের পান্ডা এনামূলের সঙ্গে যোগসূত্র আছে তৃণমূলের তাবড় নেতাদের এবং কয়লা মাফিয়া লালা’র দেওয়া টাকা জমা পড়ে জনৈক নেতার থাইল্যান্ডের অ্যাকাউন্টে।