কলকাতা: রাস্তা বদলেও মেলেনি পুলিশের অনুমতি। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠকের পর বিজেপির তরফে জানানো হয়, রোড শো হবেই। কিন্তু যে বিশাল বাইক মিছিল হওয়ার কথা ছিল, তা হবে না, রোড শো পুরোটাই পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে হবে৷ তবে, এতকিছুর পর মিছিল হলেও ফের দলের কর্মসূচিতে গরহাজির শোভন-বৈশাখী৷ পদ পেলেও নামলেন না রাজপথে৷ শোভন-বৈশাখীর এহেন অবস্থানে ক্ষোভ ছড়িয়ে দলের অন্দরে৷ তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে শোভন-বৈশাখীর নামে বরাদ্দ রাখা পার্টি অফিসের ঘরেও৷
পুলিশের মৌখিক অনুমতির অবশ্য ওই মিছিল করে বিজেপি৷ ওই মিছিলে শোভন-বৈশাখীরও থাকার কথা ছিল। কিন্তু আজ সকালে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি এই রোড শো-তে আমন্ত্রিত নন। শমীক ভট্টাচার্য জানান, দলে সবাইকে স্বাগত। আসা না আসা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। অবশ্য বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন৷ কেন মিছিলে এলেন না শোভন-বৈশাখী? ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে৷
আজ সকালে পুলিশের তরফ থেকে রোড শোয়ের মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয় বলে দাবি বিজেপির৷ কিন্তু বাইক ব়্যালি ছাড়া হেঁটে এই রোড শোয়ে সংক্ষিপ্ত রুট কী হবে তা নিয়ে আগে থেকে বিজেপি কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে না পারলেও তিনটে নাগাদ আলিপুর থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে আসবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন বৈশাখী। সকালে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া কি শোভন চট্টোপাধ্যায় রোড শোয় হাঁটবেন কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। অবশ্য শোভন ও বৈশাখীকে বোঝাতে দু’জনের বাড়িতেই গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু দেখা গেল, রোড শো হলেও এলেন না শোভন-বৈশাখী। যাদের ঘিরে রাজনৈতিক মহল উৎসুক, তাঁদের অনুপস্থিতি রাজ্য বিজেপিকে যথেষ্ট অস্বস্থিতে ফেলেছে। কেননা, দীর্ঘ মান-অভিমান কাটিয়ে দলে পদ পেয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু দলে পদ পেলেও পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে পথে নামলেন না শোভন-বৈশাখী৷
এমনকি পার্টি অফিসে তাঁদের নাম লিখে নির্দিষ্ট ঘর রাখা ছিল। কিন্তু, মিছিল শেষে দেখা গেল, শোভন-বৈশাখীর নাম লেখা কাগজ ছিঁড়ে, ঘরে তালা লাগিয়ে দেন কর্মীরা৷ এই নিয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় কিংবা মুকুল রায়, অর্জুন সিং প্রত্যেকেই ছিলেন নীরব৷ অন্যদিকে রাকেশ সিং রোড শোর আগে পোর্টের দিকে যাবেন কি না জিজ্ঞাসা করতে বলেন, ‘‘আমারক অনেক দিনের ইচ্ছা, এই মিনিপাকিস্থানকে আজাদ করার।’’ বিজেপিকে মমতার পুলিশ ভয় পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু শোভন-বৈশাখীর এই অনুপস্থিতি ঘিরে তৈরি হয়েছে চর্চা৷ তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ফের উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷ তাঁদের তৃণমূলে ফেরার জল্পনাও বাড়ছে? শমীক ভট্টাচার্যের জবাব, জগন্নাথের রথ চলবেই। ভাগ্যবানেরা রথের দড়িতে হাত ছুঁইয়ে নেবেন।