বাসন্তী: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। গত শনিবার এখানেই খুন হয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা জিয়ারুল মোল্লা। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি গাগরামারিতে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল এলাকা ছাড়তেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বাসন্তী। এবার অকুস্থল নফরগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকার চৌরঙ্গি মোড়।
অভিযোগ, গভীর রাতে চৌরঙ্গি মোড়ে বাসন্তী ব্লকের তৃণমূল নেতা দুলাল মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ২ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তিনি বরাত জোরে রক্ষা পেলেও, গুলিতে জখম হন অপর এক তৃণমূল কর্মী খগেন খুটিয়া ওরফে ফড়িং৷ তাঁর পায়ে গুলি লাগে। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে শাসকদল৷ যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ৷
দুলাল মণ্ডল জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন৷ তখন ভোটার স্লিপ নিয়ে সেখানে আসেন হিরন্ময়পুরের তৃণমূল কর্মী ফড়িং। হঠাৎই ৪-৫টি বাইক তাঁদের ঘিরে ধরে৷ প্রায় ১০-১২ জন ছিল বাইকে। বাইকের আলো নিভিয়ে এলাকায় ঢোকে তারা। এর পরেই এলোপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে৷ দুলাল পালাতে গিয়ে পড়ে যান। এরপর আরও এক রাউন্ড গুলি চলে৷ গুলি লাগে ফড়িংয়ের পায়ে৷ ততক্ষণে গুলির আওয়াজ শুনে আশেপাশের বাড়ি থেকে লোকজন বেরিয়ে আসে। তাঁদের দেখে বাইক ফেলেই পাপায় ওই দুষ্কৃতীরা। আহত তৃণমূল কর্মীর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে৷ তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে৷
বাসন্তী ব্লক তৃণমূল নেতা স্বপন পট্টনায়েক বলেন, ‘‘দুলাল তৃণমূলের একজন সক্রীয় কর্মী। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই তাঁকে টার্গেট করেছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন দুলাল৷’’