কলকাতা: মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই বিধানসভা নির্বাচনের আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। আর প্রত্যাশা মতোই বড়সড় চমক ছিল তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ৬৩টি আসনের এই তালিকায়। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে যে জল্পনাটা সবথেকে জোরদার হয়েছিল বেশি অপেক্ষা করতে হল না তার উত্তর পেতে। বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়েই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
পূর্ব বেহালা বিধানসভা আসন বরাবরই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক ভাবেই সেখান থেকে এবারের ভোটেও পদ্ম টিকিটে লড়ার আশা করেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এবার পূর্ব বেহালার আসন থেকেই সবচেয়ে বড় চমকের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। শোভন বৈশাখীকে বঞ্চিত করে তারকা প্রার্থী পায়েল সরকারের নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। এরপর শোভন চট্টোপাধ্যায় যে খুব বেশিদিন বিজেপিতে থাকবেন না, তা আন্দাজ করেছিলেন অনেকেই। এখন প্রশ্ন হল কী হবে রাজনৈতিক আঙিনায় তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ? এখানেই কি টানবেন ইতি? শুরু হয়েছে জল্পনা।
শোভন চট্টোপাধ্যায় যে পূর্ব বেহালা থেকে লড়বেন তা আন্দাজ করেই সেখান থেকে শোভন বাবুর স্ত্রী রত্নাদেবীকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মনে করা হয়েছিল এবার স্বামী স্ত্রীর মেগা দ্বৈরথ দেখবে বাংলা। কিন্তু সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বনিবনা ভালো হচ্ছিল না। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাতে এবারের নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয় তার দাবি জানিয়েছিলেন শোভন বাবু। কিন্তু দল তা কানে তোলেনি।
এরপর বেহালা পূর্ব থেকে স্ত্রী রত্না দেবীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চাইলেও বিজেপি নেতৃত্ব সেই দাবি না মানলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করেননি প্রাক্তন ঘাসফুল নেতা। এদিন দিলীপ ঘোষকে চিঠি দিয়ে বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্কই ত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।