মহারাষ্ট্র: শীতের শেষে ফের করোনা ভয়ে কাঁপছে পশ্চিম ভারত।অভিশপ্ত ২০২০ শেষে, ভ্যাকসিনের হাত ধরে যে অতিমারীমুক্ত নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখেছিল গোটা দেশ তার পথে এখন প্রধান বাঁধা মহারাষ্ট্র। এ রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার আচমকাই বেড়ে গেছে কয়েকগুণ,যার জেরে ফের লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। কিন্তু ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মাঝেই এবার মহারাষ্ট্রে দেখা গেল চিরাচরিত রাজনৈতিক দোষারোপের তর্জনীও।
মন্দিরকেন্দ্রিক হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির কারণেই করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে মহারাষ্ট্রে, বিজেপিকে দোষারোপ করে এদিন এমনটাই দাবি করেছে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনা। দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এদিন রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে। দিনকয়েক আগে রাজ্যের মন্দিরগুলি পুণরায় খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীস। জানা গেছে, সেই সূত্র ধরেই এদিন গেরুয়া দলকে তুলোধুনো করেছে শিবসেনা।
বস্তুত, মহারাষ্ট্রে ফের করোনা সংক্রমণের ঢেউ শাসকদলকে খুব একটা স্বস্তির জায়গায় রাখেনি। আর তার ফলেই বিরোধী শিবিরের দিকে আঙুল তোলার এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। এদিন ‘সামনা’র প্রতিবেদনে লেখা হয়, “কোনোরকম দাবি তোলার আগে বিরোধীদেররাজ্যের অতিমারী পরিস্থিতিকে বুঝতে হবে। মন্দিরে গেলে মানুষ মনের শান্তি পায় ঠিকই, কিন্তু এই মনের শান্তির আসল মানেই বিরোধীরা জানে না। রাজনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য তাঁরা একে ব্যবহার করে।” রাজ্যের মানুষের সুরক্ষাই যে এখন তাদের একমাত্র অগ্রাধিকার সে কথাও স্পষ্ট করেছে শিবসেনা।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের হার যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা দেশের বাকি অংশের মানুষের কাছেও রীতিমতো উদ্বেগজনক। শুক্রবার এ রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। সুস্থতার সূচকও দেখা যায় নিম্নমুখী।