shibud
নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালি কাণ্ডে অবশেষে প্রবল চাপের মধ্যে পড়ে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুকে। একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি! কথায় বলে ঠেলায় পড়লে বিড়ালও নাকি গাছে ওঠে। শনিবার তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশকে নিয়ে এমনই চর্চা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। সকলেই বলছেন সন্দেশখালি মহিলারা উত্তম এবং শিবুর বিরুদ্ধে যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে প্রথমেই যদি ব্যবস্থা নিত পুলিশ প্রশাসন, তাহলে আজকে তাদের মুখ পুড়ত না। অর্থাৎ প্রচুর সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার পর গ্রেফতারের রাস্তায় পুলিশ হাঁটতে বাধ্য হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে শিবু-উত্তমের পথ ধরে শেখ শাহজাহানকেও গ্রেফতার করবে পুলিশ?
সন্দেশখালির ঘটনা শুধু রাজ্য নয়, সেটি জাতীয় রাজনীতিতেও অন্যতম আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। এই ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। বিগত কয়েক দিনে সন্দেশখালিতে বিরোধীরা বারবার যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁদের যেতে দেয়নি পুলিশ। সন্দেশখালির মহিলারা যে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তার ভিত্তিতে জাতীয় এসসি কমিশন রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ পর্যন্ত করেছে। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমেই পদক্ষেপ করলে তাদের এভাবে ‘ফেস লস’ হতো না। তবে কি উপর মহলের অর্ডার আসার অপেক্ষায় ছিল পুলিশ? পুলিশের কি পরিস্থিতি বুঝে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই? সব সময় তারা বিশেষ নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে? এই সমস্ত প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে যে, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে ফের এমন ঘটনা ঘটলে পুলিশ কি দ্রুত ব্যবস্থা নেবে? নাকি ফের সমালোচনার মুখে পড়তে হবে তাদের? এর উত্তর একমাত্র রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারাই দিতে পারবেন।