কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বুথ থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন নন্দীগ্রামের শেখ সুফিয়ানের

কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বুথ থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন নন্দীগ্রামের শেখ সুফিয়ানের

নন্দীগ্রাম: পঞ্চায়েত নির্বাচনে  প্রতিটি বুথে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ অথচ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি, বুথে বাহিনী নেই৷ সেই অভিযোগেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। গোটা ঘটনাটা ঘটেছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের গ্রামে৷ পরিস্থিতি দেখে ময়দানে নামেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। বিজেপি কর্মী এবং প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসাও হয় তাঁর৷ এর পর প্রশাসনিক কর্তাদের নিজেই ফোন করে নিজেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠান সুফিয়ান।

প্রতি বুথে বাহিনী থাকার কথা থাকলেও, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মহম্মদপুর-২ পঞ্চায়েতের তারাচাঁদবাড়ে ৬৭ এবং ৬৮ নম্বর বুথে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। বুথে বাহিনীর  দাবি জানিয়ে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বুথে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ বিক্ষোভ-অশান্তির জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। তাঁদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠভাবে হবে না৷ অশান্তি ছড়াতে পারে। এদিকে, ভোটগ্রহণ সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বুথের বাইরে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়৷ এদিকে, সুফিয়ান হলেন ওই এলাকারই ভোটার৷ খবর পেয়েই বুথে ছুটে যান তিনি। কেন ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে, তা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। ভোটগ্রহণ শুরু করা নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সুফিয়ান। এদিকে, বাহিনী ছাড়া ভোটগ্রহণ চালু করা যাবে না বলে নাছোড় বিজেপি। অবশেষে নিজেই প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করে বাহিনী চেয়ে পাঠান শেখ সুফিয়ান৷ 

তাঁকে ফোনে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিজেপি এবং সিপিএম হামলা করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। আমি এসপি, ডিএমকে বলেছি। কিন্তু কেউ কোনও ফোর্স পাঠাচ্ছে না।’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *