কলকাতা: বিদ্রোহের ইতি টানতেই পুরস্কৃত হলেন বীরভূমের সংসদ শতাব্দী রায়৷ তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি পদে শতাব্দীকে দেওয়া হয়েছে গুরুত্ব৷ একই সঙ্গে দলের অন্দরে গুরুত্ব পেয়েছেন আরও দুই তৃণমূল নেতা৷ শতাব্দী রায়-সহ দলের সহ-সভাপতি হচ্ছেন মোয়াজ্জেম হোসেন, শঙ্কর চক্রবর্তী৷
শতাব্দীর বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্টের পরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক৷ তৈরি হয়েছিল দলবদলের জল্পনা৷ সংসদ নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি দিল্লি যেতে পারেন৷ কথা হতে পারে অমিত শাহের সঙ্গে৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মাথা নামেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷ শতাব্দী বাড়িতে সরাসরি চলে যান কুণাল ঘোষ৷
দফায় দফায় বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে নিজেই দাবি করেন শতাব্দী৷ জানিয়ে দেন, দলেই আছেন, দলেই থাকবেন৷ দলের অন্দরে বিক্ষোভ কাটিয়ে ফেসবুকের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন শতাব্দী৷ এর পরপর পুরস্কৃত হন বীরভূমের সংসদ৷ ৩বারের সাংসদকে রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয় তৃণমূলের তরফে৷
নতুন পদ পাওয়ার পর শতাব্দী রায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি খুব খুশি, আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ এই দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়ার ফলে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল৷ কর্মী হিসেবে কাজ করে এসেছি, দলের কাছেস, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ৷ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমাকে মনে করেছেন আমি ওই পদের যোগ্য৷’’
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে শতাব্দীর পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক৷ শুক্রবার দিনভর দফায় দফায় দীর্ঘ বৈঠকের পর শনিবার করে অভিষেকের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা তিনি৷ দীর্ঘ বৈঠকের পর জট কাটায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব৷ তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, শতাব্দীর ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে ভোটের আগে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছিল বিজেপি৷ কিন্তু, তা আপাতত রোখা গিয়েছে৷ ফলে, সাংসদ যাতে নতুন করে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে না ওঠেন তা নিশ্চিত করতেই বড় পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷