ওয়াশিংটন: বেসিক ইন্সটিংক্ট৷ টানটান থ্রিলার আর বেপরোয়া যৌনদৃশ্যে ভরপুর এই হলিউডি ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯২ সালে। অচিরেই ব্লকবাস্টার। তার পর কেটে গিয়েছে ২৯টা বছর। কিন্তু এখনও জনমনে সমান শিহরণ জাগায় মাইকেল ডগলাস আর শ্যারন স্টোনের সেই শরীরী রসায়ন। এখনও সমান আকর্ষণীয় জেরা পর্বের সেই বিখ্যাত ‘যৌনাঙ্গ দৃশ্য’। কিন্তু সেই দৃশ্যের নেপথ্য কাহিনি কী? এত বছর পর সেটাই সামনে এনে বিস্ফোরণ ঘটালেন শ্যারন স্টোন, যিনি রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে গিয়েছিলেন এই ছবিটির দৌলতে।
আগামী ৩০ মার্চ প্রকাশিত হতে চলেছে শ্যারনের লেখা বই ‘দ্য বিউটি অফ লিভিং টোয়াইস’। সেই বইয়েরই অংশবিশেষ সম্প্রতি উঠে এসেছে ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ ম্যাগাজিনের পাতায়। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্যারন তাঁর বইয়ে লিখেছেন, বেসিক ইন্সটিংক্ট ছবির শ্যুটিংয়ের সময় পরিচালক তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন, যার ফসল ওই গোপনাঙ্গ দৃশ্য। পরিচালক পল ভারহোভেন উত্তেজক মুহূর্তের শ্যুটিংয়ের সময় তাঁকে মিথ্যা বলে শট নিয়েছিলেন। আসল চিত্রটা ধরা পড়ে যখন শ্যুটিং শেষে প্রজেকশন রুমে তিনি ছবিটি দেখেন। দৃশ্যটি দেখার পর তিনি পরিচালককে চড় কষান, দ্বারস্থ হন আইনজীবীদের। শ্যারনের আইনজীবীরা বলেছিলেন, এই অবস্থায় ছবিটি মুক্তি পেতে দেওয়া যায় না। কিন্তু ঘটনা হল, ছবিটি তার পরও মুক্তি পেয়েছিল। বাকিটা তো ইতিহাস৷
শ্যারনের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই যৌনাঙ্গ দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময় সেটে তাঁকে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বলা হয়। সাদা আলোর সমস্যার জন্য তাঁকে সেটি খুলতে বলা হয় বলে জানিয়েছেন শ্যারন। পরিচালক তাঁকে জানিয়েছিলেন, ক্যামেরায় ধরা পড়বে না তাঁর গোপনাঙ্গ। শ্যারন তা বিশ্বাসও করেছিলেন। কিন্তু ছবিতে দেখতে পান, তাঁকে ঠকানো হয়েছে। শুধু অন্তর্বাস খোলা নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো নয়, ৬৩ বছরের শ্যারন সামনে এনেছেন আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। একদা যুবমনে হিল্লোল তুলে দেওয়া এই অভিনেত্রীর দাবি, ওই ছবিতে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে যাতে শরীরী রসায়ন ঠিকমতো ফুটে ওঠে, তার জন্য সহ-অভিনেতার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে বলেছিলেন ছবির প্রযোজক।