দিল্লি: শেয়ার মার্কেট আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারে। কিন্তু কিভাবে? শুধুমাত্র ইনভেস্ট করে? একদম ভুল ভাবছেন! শেয়ার মার্কেটের হাত ধরে ধনী হতে চাইলে চট করে করে ফেলুন শুধু কয়েকটা অভ্যাস। ফাস্ট পয়েন্টটাই ভীষণ ইম্পর্টেন্ট। নিশ্চয়ই বিনিয়োগ করবেন কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে। শেষে থাকবে একটা বিশেষ নম্বর। নোট করতে একদম ভুলবেন না।
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ অনেকেই করে কিন্তু মালামাল কি সবাই হতে পারেন? কোন স্টকে বিনিয়োগ করলে সহজে মিলবে বেশি লাভ, কোন স্টকে রিস্কটা বেশি, কোন স্টকে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি লাভের সম্ভবনা, এসবের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হন অনেকেই। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর তথ্যের উপর ভরসা করলেই হবেনা, কিংবা সঠিক শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলেই চলবেনা। হঠকারিতা এড়িয়ে চলতে হবে। মনে রাখবেন, বিনিয়োগের সময় হঠকারি কোনও সিদ্ধান্ত নিলে কোনওভাবেই চলবে না। নিজের লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে হঠকারিতায় বিরাট অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে বিপদে পড়তে পারেন আপনি। লক্ষ্যের পাশাপাশি নিজের বিনিয়োগের পরিমাণকেও স্থির রাখা প্রয়োজন। আয় বুঝে বিনিয়োগের সীমা ধার্য করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস, যা অনেকেই পালন করতে পারেন না। ফলে, বড় লাভের আশায় নিজের সর্বস্ব খুইয়ে ফেলেন বহু বিনিয়োগকারী। তাই এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে মত বিনিয়োগকারীদের। নেক্সট পয়েন্টটাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় আয় বুঝে ব্যয় করুন। প্রতি মাসে নিজের আয়ের কত শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবেন, সেই সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করা প্রয়োজন। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে নজর রেখে, ছোট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগের মধ্যে দিয়েও শেয়ার বাজার থেকে ভাল লাভ তুলে নেওয়া যেতে পারে। উল্টে মাত্রাতিরিক্ত বিনিয়োগে ঘনাতে পারে বিপদ। সহজ কথায়, আয় বুঝে ব্যয় না করলে মাসের শেষে টান পড়তে পারে পকেটে। তাই বুঝে শুনে নিজের উপার্জন এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইনভেস্ট করুন। ঋণ করে দিন চালাবেন? এই ভাবনা নৈব নৈব চ। দেখুন, ঋণ করে দিন কাটানোর মতো বাজে অভ্যাস আপনাকে ঠেলে দিতে পারে অর্থনৈতিক ভরাডুবির দিকে। একাধিক সংস্থা থেকে চড়া সুদে পার্সোনাল লোন নিয়েও বিনিয়োগ করতে দেখা যায় অনেককে। সেখানে দিনের শেষে শেয়ার মার্কেট থেকে যা লাভ হয়, তা সুদ দিতেই বেরিয়ে যায়। আর লাভ না হলে ফিরতে হয় খালি হতে। তখন একূল-ওকূল দুই কূলই যাওয়ার উপক্রম হয়। তাই কোনও সময় বাধ্য হয়ে ঋণের জালে পা দিলেও, দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে ফেলতে হবে। বারবার বলছি এই ভুলটা একেবারেই করবেন না। আর হ্যাঁ অবশ্যই নজর রাখতে হবে পোর্টফোলিওর দিকে। দৈনিক কতটা লাভে যাচ্ছেন নাকি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আপনার বিনিয়োগ, খুব ভালো করে নজর রাখতে হবে সেদিকে। যে অ্যাপ মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছেন, দৈনিক নজর রাখতে হবে সেখানে। কোন শেয়ার উঠছে, কোন শেয়ার নামছে, আপনার বিনিয়োগ লাভের মুখ দেখতে পেল কি না, নজর দিতে হবে প্রতিটা ছোটছোট বিষয়ে।
বুঝতে হবে লাখপতি বা কোটিপতি হওয়ার এই পথে বিনিয়োগ একটা মাধ্যম মাত্র। অনুযায়ী ব্যয়ের মতো একাধিক অভ্যাস আমাদের ধনী হওয়ার এই পথকে খানিক প্রশস্ত করে। কিন্তু কিছু অভ্যাস মাথায় রাখলে এবং সুপরিকল্পনা করে এগোলে বরং সহজেই হতে পারে লক্ষ্মীলাভ। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং ফ্রিতে হাতে-কলমে শেয়ার বাজার শিখে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করুন। ফোন করুন ৯০৯৩২১১২১১ এই নম্বরে।