কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে সামাল দিতে নড়েচড়ে বসেছেন মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শরদ পওয়ার। বাংলায় যাতে বিজেপি সরকার গড়তে না পারে সে বিষয়ে কড়া দৃষ্টি রাখছেন তিনি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত ঘোষাল।
সূত্রে খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ফোনে কথা হয় কংগ্রেস সাংসদের। কিছুদিন আগেই মমতার সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কথা হয় তাঁর। এরপরেই দিল্লিতে গিয়ে সেখানে বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি. রাজা-র সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন শরদ পওয়ার। পশ্চিমবঙ্গের এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই থাকা দরকার এবং বাম সমর্থন ছাড়া সেই ছক বদলে যেতে পারে, এমনটাই দুই বাম নেতাকে বুঝিয়েছেন শরদ। পাশাপাশি এও বলেছেন, সিপিআইএমের তৃণমূল বিরুদ্ধ ভোটব্যাঙ্ক যেন কোনোভাবেই বিজেপির কাছে না যায়। কারণ, বিজেপি যদি একবার বাংলায় সরকার গড়ে নেয়, তাহলে এই মডেলকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাঠে নামবে তারা।
দুই সিপিআইএম নেতাকে শরদ বারবার করে বুঝিয়েছেন, বাংলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এখন একটাই মুখ, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সরকারে এলে বাংলার পাশাপাশি বাম-কংগ্রেস উভয়ের জন্যই ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহাজোট সরকারের কোনও আশা করা যায়? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত ঘোষাল জানিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধী চাইলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘একলা চলো রে’ নীতি এই জোটে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে রাজ্য কংগ্রেসের অধ্যক্ষ অধীর চৌধুরীও একেবারেই চান না ভোটের আগে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধতে। তাহলে পরবর্তী সময়ে বাংলায় কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। তার বদলে, ভোটে নিজেদের শক্তি বাড়াতে পারলে সরকার গড়তে তৃণমূলের কংগ্রেসকে প্রয়োজন হবে। এদিকে একই কারণে বামও মহাজোটে থাকতে চাইছে না। বাম এও ভাবছে, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলালে তাদের ভোটের একাংশ গেরুয়া শিবিরে চলে যায়!