কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন চমকপ্রদ প্রচার করেছে সিপিএম। যা ইতিমধ্যেই সারা রাজ্যের দেওয়ালে, ইউটিউব সহ বাকি সোশ্যাল মিডিয়াতে শোরগোল ফেলেছে। এই আকর্ষণীয় প্রচারগুলির পিছনে এস এফ আই, ডি ওয়াই এফ কর্মীদের মস্তিষ্ক রয়েছে। ইতিমধ্য়েই ভাইরাল হয়েছে ব্রিগেডের ‘টুম্পা’ গান। একই ধরণের আরও বেশ কিছু গান রয়েছে যা বেশ হিট।
ভোটারদের ভাবাচ্ছে। এবার এসএফআই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের নিবেদন – ‘নির্বাচনের সহজ পাঠ’। ইতিমধ্যেই যা প্রকাশিত হয়েছে। ‘‘ছোট খোকা বড় হবে, শিখে পড়ে অ আ, আগামীর জন্যই এই কথা কওয়া’’। ‘‘ই ঈ-চাকরিটা পায়নি হ্রস্ব ই, দীর্ঘ ঈ, তেলে ভাজা বেচবে ভেবে করে হইচই।’’
রবি ঠাকুর এবং নন্দলাল বসুর চিন্তাভাবনাকে কুর্ণিশ জানিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যা করেছেন তা সহজ পাঠের ধাঁচে তৃণমূল-বিজেপি”র দুর্নীতি, মানুষের জীবনযন্ত্রণার নানা কথাকে এভাবেই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গণশক্তি পত্রিকায় এসএফআই কর্মীরা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, আমরা সহজ পাঠের মধ্য দিয়েই তৃণমূল-বিজেপি’র মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে দেশ রাজ্যের বেহাল পরিস্থিতি মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই চেষ্টা। নির্বাচনের সহজ পাঠের ছোট ছোট ছড়া মানুষের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
টুম্পা গান নিয়ে বামেদের প্রচারে মাতামাতিকে আনেকে আবার ব্যাকা চোখেও দেখেছে। যারা বলেছেন, এক সময়ে জন হেনরির গান গাওয়া বামেরা এখন টুম্পা গানের সঙ্গে কোমর দেলাচ্ছে। কিন্তু উদ্দিপনাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। ‘টুম্পা সোনা’র পর ‘লুঙ্গি ডান্স’ও বামেদের প্রচারে বেজেছে। লুঙ্গি ডান্সের-এর প্যারোডিও কম হিট হয়নি। কার্টুন, ব্যাঙ্গচিত্রের মাধ্যমে নতুন এই প্যারোডি ভিডিয়োটির ফেসবুকে আলোড়ন ফেলেছে। ‘টুম্পা তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাব’র মতো লুঙ্গি ডান্সও এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাল সাড়া ফেলেছে। বাম কর্মী-সমর্থকদের তরুণ ব্রিগেডের একাংশের মধ্যে এই গান নিয়েও তীব্র উচ্ছ্বাসও দেখা গিয়েছে।