কলকাতা: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আচমকাই জোর করে তুলে দেওয়া হয় ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের৷ টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় বাসে৷ অন্যদিকে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় পর্ষদের অফিস৷ এদিন টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনে সামিল বাম ছাত্র-যুবরা৷ যে দিক থেকেই এসএফআই-ডিওয়াইএফআই কর্মীরা আসছেন তাঁদের আটক করা হচ্ছে৷ পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ করুণাময়ী চত্বর৷ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে ব়্যাফ৷ নির্বিচারে চলছে ধরপাকড়৷
আরও পড়ুন- মধ্যরাতে পুলিশি নির্যাতন, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা
এদিকে, শুক্রবার দুপুর থেকে ফের করুণাময়ীতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ তাঁদের আন্দোলনে সামিল হন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়৷ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে অবস্থানে বসেন তিনি৷ মীনাক্ষী বলেন, ‘পুলিশ এই লড়াইকে ভয় পাচ্ছে৷ ’ তাঁরা অবস্থানে বসতেই সেথান থেকে তাঁদের টেনে হিঁচড়ে তুলে দেয় পুলিশ৷ ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সিটিসেন্টার মোড়ে৷ আটক করা হয় মীনাক্ষীকে৷
আন্দোলনরত এক বাম ছাত্র নেতা বলেন, ‘‘গতকাল রাতে জন্তুর মতো পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান থেকে টেনে তুলে দিয়েছে৷ আইন ভেঙে রাতে মহিলাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আঘাত করা হচ্ছে৷ এটাই এ রাজ্যের গণতন্ত্র৷ ’’ অন্যদিকে, মীনাক্ষী বলেন, ‘‘যদি মনে করে থাকে রাতিরাতি যে কোনও জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে আমাদের গ্রফেতার করা হবে, এ রাজ্যে তা হবে না৷ এখানেই অবস্থান চলবে৷ কারণ এই জায়গাটা ১৪৪ ধারার মধ্যে নয়৷’’ তিনি আরও বলেন, টাকা নিয়ে, সাদা খাতা জমা দিয়ে এ রাজ্যে চাকরি দিয়েছে সরকার৷ তার প্রতিবাদ হবেই৷ পুলিশ এসে দেখিয়ে দিক কতটা ১৪৪ ধারা৷ আমরা তা লঙ্ঘন করব না৷ এর পরই টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মীনাক্ষীকেও৷ চ্যাঙদোলা করে তোলা হয় পুলিশ ভ্যানে৷
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে করুণাময়ী থেকে ‘জোর করে’ আন্দোলন তুলে দেয় পুলিশ। আন্দোলনস্থলে সেই সময়ও উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের আটক করার ঘটনায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই আন্দোলন ভেঙে দিতে পুলিশ অনৈতিক ভাবে পদক্ষেপ করেছে। আমরা সারা রাজ্যব্যপী এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাব। আন্দোলন চলবে।’’ পরে এসএফআই-ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে জানানো হয়, শুক্রবার আন্দোলনস্থলে জমায়েত করবে তাঁরা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>