নয়াদিল্লি: একদিকে বিশ্বজোড়া করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অচলাবস্থা৷ পাশাপাশি চিনের সঙ্গে চলছে মার্কিন বাণিজ্যের লড়াই৷ আর তার জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতীয় শেয়ার বাজার৷ ১০ বছরে সর্বোচ্চ পতন দেখা দিয়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে৷ চড়ছে টাকার দাম৷ সর্বনিম্ন অপরিশোধিত তেলের দাম৷ দোল উৎসবের মধ্যেও টালমাটাল ভারতীয় বাজার৷ কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? কী বলছে বাজার বিশেষজ্ঞরা?
সোমবার বাজার খুলতেই শেয়ারবাজারে বড়সড় পতন দেখা দিয়েছে৷ দু’হাজার পয়েন্ট নেমেছে সেন্সেক্স৷ ৬০০ পয়েন্টের বেশি নিচে নেমে গিয়েছে নিফটি৷ গত গত ১০ বছরে সর্বোচ্চ শেয়ারে পতন৷ গত এক সপ্তাহ ধরে বেসামাল ভারতীয় বাজার৷ আর এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাজার বিশেষজ্ঞরা৷
তাদের একাংশের দাবি, গত সাত দিন ধরেই ভারতীয় বাজারে চূড়ান্ত অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে৷ তার মূল দু’টি কারণ রয়েছে৷ প্রথমত করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক৷ আর তার জেরে গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে৷ দ্বিতীয় কারণ, ইয়েস ব্যাংকের ভরাডুবি৷ ভারতীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখতে পারছেন না লগ্নিকারীরা৷ আর জেরে এই পতন বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷
গত ২০০৮ সালে গোটা বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নামে৷ এরপর এই প্রথম গোটা বিশ্বজুড়ে পতন দেখা দিয়েছে বাজারে৷ অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম অস্বাভাবিকহারে নেমে গিয়েছে৷ ৩০% দাম কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম৷ ফলে তেলের বাজারেও চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷ অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ার কারণে সমস্ত শেয়ারবাজারও ধ্বস নেমে গিয়েছে৷ অনিশ্চয়তার কারণে দফায় দফায় বেড়েছে টাকার দাম৷ ডলারের তুলনায় টাকার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা৷ বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা ও দেশের বাজারে অস্থিরতার কারণে শেয়ারবাজার মারাত্মকভাবে নেমে গিয়েছে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহলের একাংশ৷ আর তার জেরে বহুদিন পর ফের ব্ল্যাক মানডে দেখল দালাল স্ট্রিট৷