কলকাতা: সামনেই ২১ এর বিধানসভা নির্বাচন৷ দল বদলের জেরে জেরবার বাম ও কংগ্রেস৷ আর তার মধ্যে বাংলা ভোটের আগে জোট বেঁধে শক্তি পরীক্ষার পথে হাঁটতে চলেছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ গতবারের নির্বাচনের ভোট ভেস্তে গেলেও এবারের নির্বাচনে জোটের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ টুইট বার্তায় সেই জল্পনা আরও বাড়িয়েছেন অধীর চৌধূরী৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সরাসরি বামেদের জোটবার্তা দেন অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ টুইটে জোটবার্তায় সাড়া দিয়েছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম৷
টুইটে বাম তরফে সেলিম লিখেছেন, ‘অধীরবাবুকে শুভেচ্ছা। বিজেপি ও তৃণমূলের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেস আগেও যৌথ কর্মসূচি নিয়েছে, ভবিষ্যতেও নেবে।’ এর থেকেই স্পষ্ট বাম-কংগ্রেস আসন রফার সমীকরণ নিয়ে আলোচনা বাকি থাকলেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দুজনে হাত মেলাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে দুই দলই বাংলায় তাদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।
এক ভিডিয়ো বার্তার সেলিমকে বলতে শোনা যায়, “মানুষের নানা ইস্যুতে যে লড়াই তাতে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বেড়েছে। বাংলাকে বাঁচাতে গেলে কংগ্রেস, বাম এবং সমস্ত বামপন্থী শক্তিকে একজোট হতে হবে। বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী ভোট এক জায়গায় করতে হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে যে কোনও কারণেই হোক জোট হয়নি। তাতে রাজ্যকেই ভুগতে হচ্ছে। যে কোনও কারণেই হোক, অর্ধেক অর্ধেক করে বিজেপি আর তৃণমূল ভোট ভাগ করে নিয়েছে। কিন্তু মানুষের বিপদের সময় তাদের দেখা যায়নি।” সেলিমের টুইটের পরেই উৎসাহিত হয়ে অধীর চৌধুরী জানান, “সেলিম ভাইয়ের টুইট আমায় উৎসাহিত করল, একসঙ্গেই লড়ব আমরা।”
২০১১ এর বিধানসভায় তৃণমূলের অধিকার স্থাপনের পর থেকেই সিপিএম ক্রমশ ত্বরানিত হতে শুরু করে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর থেকে কংগ্রেসের সমর্থনও কমতে শুরু করেছিল। আজ যা চোখেই দেখা যায় না। আগেও ২০১৬ সালে আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে জোটবদ্ধ লড়াই চালিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। সেখানে বামেদের থেকে বেশি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এরপর ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা না হওয়ায় শুধুমাত্র ২টি আসনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি সিপিএম। সেখানে ২টি আসনেই জেতে কংগ্রেস। অন্যদিকে কংগ্রেস তরফে ১টি আসনে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ায় সেখানে দ্বিতীয় হয় সিপিএম।