vidhan sabha
নিজস্ব প্রতিনিধি:রাজ্য বিধানসভার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কোনও ভাবেই যাতে মাছি গলতে না পারে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। আসলে সংসদে গ্যাস হামলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিধানসভায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। স্পিকার আগেই জানিয়েছিলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে কি কি পদক্ষেপ করছেন তাঁরা। এরপর মঙ্গলবার ফের বিষয়টি নিয়ে বসেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মন্ত্রী, বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষ্মীদের বসার জন্য আলাদা জায়গা করা হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সর্বদা নিয়ে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশকে বিধানসভায় বাহিনী বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে স্পিকারের তরফ থেকে। এ প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, বিধানসভায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের সবসময় কড়া নজর থাকে। এ ব্যাপারে নিয়মিত রিভিউ করা হয়। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন লালবাজারের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, রিজার্ভ ফোর্স স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করে। এদিকে শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনের পুষ্প প্রদর্শনী শুরু হতে চলেছে বিধানসভায়। সেই প্রদর্শনীতে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ পরিচয়পত্র নিয়ে ঢুকতে হবে।
এর আগে স্পিকার জানিয়েছিলেন বিধানসভায় ঢোকার সমস্ত গেটের সামনে ওয়েব ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। তাতে যে বা যারা বিধানসভায় ঢুকছেন তাঁদের প্রত্যেকের মুখের ছবি ধরা পড়বে। বিধানসভার পশ্চিম গেট শুধুমাত্র ভিজিটরসদের জন্য নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পরিচয়পত্র ছাড়া বিধানসভার কোনও কর্মী, সাংবাদিক, এমনকী বিধায়করাও প্রবেশ করতে পারবেন না। এর আগে ভিজিটরস স্লিপ দিয়ে কেউ সারাদিনের জন্য বিধানসভায় থাকতে পারতেন। এখন সেটি কমিয়ে দু’ঘণ্টা করা হচ্ছে। সেই স্লিপ নিয়ে ঢোকার দু’ঘন্টা পর কেউ যদি বিধানসভা থেকে বের হন তখন স্লিপের সময় দেখে পুলিশ সেই ব্যক্তিকে জেরা করবে। এখানেই শেষ নয়, বিধায়কদের গাড়িতে নির্দিষ্ট স্টিকার না থাকলে সেই গাড়ি ভেতরে ঢুকতে পারবে না। সেই গাড়িকে বাইরে রেখেই বিধায়কদের ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। এর পাশাপাশি বিধানসভার লবিতে বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া বাড়তি পুলিশ থাকবে না। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে বিধানসভার মূল ভবনে লাইসেন্স থাকলেও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। সব মিলিয়ে রাজ্য বিধানসভার নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। এই সমস্ত নিয়ম দ্রুত চালু করা হবে বলে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।