Vikram
কলকাতা: গত ২৩ অগাস্ট ইতিহাস রচনা করে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ড করে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। যে জায়গায় বিক্রম পা রাখে, প্রধানমন্ত্রী সেই জায়গাটির নাম দেন শিবশক্তি পয়েন্ট৷ অবতরণের পর থেকে শিবশক্তি পয়েনেটেই দাঁড়িয়ে রয়েছে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার। আগামীদিনেও এই এলাকাতেই দাঁড়িয়ে থাকবে সে। ক্রমেই ফুরচ্ছে তার আয়ু৷ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার ঘনাবার আগে পর্যন্ত অক্লান্ত ভাবে কাজ করে চলেছে বিক্রম। ইসরো জানিয়েছে, অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে কাজ করেছে বিক্রম। এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডারের সব যন্ত্রই সঠিক ভাবে কাজ করে চলেছে৷
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে সে৷ তবে চাঁদে রাত নামতে বাকি হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। রাত নামার আগে হাতেগোনা এই ক’দিনে যতটা সম্ভব কাজ করে নিতে চাইছে বিক্রম। এই প্রথম কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁয়েছে৷ তবে মাত্র ১৪ দিনের জীবনকাল নিয়ে চাঁদে গিয়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান৷ দক্ষিণ মেরুতে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চির নিদ্রায় চলে যাবে। কারণ, তারা সৌরশক্তি দ্বারা চালিত। তাই অন্ধকার নামলে কাজ করার ক্ষমতাও হারাবে তারা৷ ইতিমধ্যেই প্রজ্ঞানকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘুম পাড়ানোর আগে ফের বিক্রমকে পরীক্ষায় বসাল ইসরো।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের মাটি থেকে ফের শূন্যে ওড়ানো হয় বিক্রমকে। চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডারের সঙ্গে থাকা ইঞ্জিনকে চালু করে তাকে প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ওড়ানো হয়। এর পর পূর্বের জায়গায় থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার দূরে সফল ভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে বিক্রম। এই পরীক্ষা সফল হওয়াটা ইসরোর কাছে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ৷
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে চাঁদে মানব অভিযানের ক্ষেত্রে এই সাফল্য অত্যন্ত জরুরি ছিল। তাছাড়া পরবর্তী সময়ে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়ে তা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এই পরীক্ষা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিক্রমের ক্যামেরা থেকেই এই ‘হপ এক্সপেরিমেন্ট’-এর একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছে ইসরো।