ওয়াশিংটন: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন তৈরিতে লেগে রয়েছে বিশ্বের তাবড় দেশ। এখনো পর্যন্ত একাধিক ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে থাকলেও ইতিবাচক কোন খবর পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য এখনও বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে এই বলে অনুমান। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা হয়তো ভাইরাস রোধে ‘সর্বশক্তিমান’ এক ভ্যাকসিন বানিয়ে ফেলেছেন, সেই নিয়ে এখন গবেষণা তুঙ্গে!
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, তারা এমন এক করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন যা হয়তো সর্বশক্তিমান। অর্থাৎ, এই ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মুক্ত হওয়া মানুষের শরীরে তৈরি অ্যান্টিবডির তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। ইঁদুরের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে গবেষণা চালানোর পর এমনই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা। এই গবেষণা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি কমপক্ষে ১০ বেশি শক্তিশালী।
এই খবর সামনে আসতেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন অন্যান্য গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা। যদিও কেউই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন না এখনই, কারণ এই ভ্যাকসিন নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। তবে মনে করা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন নিয়ে যে রিপোর্ট বেরিয়েছে, তার কিছুটাও যদি ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজে লাগে, তাহলে হয়তো করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না বিশ্ববাসীকে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বের করেছে বলে দাবি করেছে, যদিও সেই ব্যক্তির নিয়ে একেবারেই আশাবাদী নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একইসঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশও সেই ভ্যাকসিন নিয়ে খুব একটা আশা দেখায়নি। অন্যদিকে চিনও দাবি করেছে যে তারা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। তবে তাদের দাবিকেও খুব একটা আমল দেয়নি বিশ্ব। যদিও একাধিক গবেষণার রিপোর্টের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে হয়তো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে।