অবিলম্বে চালু হোক স্কুলের পঠনপাঠন, শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শিক্ষক সংগঠনের

অবিলম্বে চালু হোক স্কুলের পঠনপাঠন, শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শিক্ষক সংগঠনের

কলকাতা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত চালু হোক দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পঠন-পাঠন৷ পড়ুয়াদের স্বার্থে ক্লাস চালুর দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাল শিক্ষক সংগঠন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি৷ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য যে ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হবে, তার আবেদনের সময় আরও খানিকটা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে শিক্ষক সংগঠনের তরফে৷

সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসেই সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু করতে হবে। এছাড়াও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য যে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে, তার ব্যাঙ্ক ডিটেলস বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করার জন্য অন্তত একমাস সময় বাড়ানো দরকার৷ কেননা তফশিল জাতি উপজাতি, সংখ্যালঘু এবং মেয়েদের কোন না কোন স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে। কিন্তু জেনারেল কাস্টের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়স্তরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন না থাকায় বহুসংখ্যক ছাত্রর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুসারে যাতে সব ছাত্রছাত্রী এই সুবিধা পেতে পারে, তার জন্য এক মাস সময় বাড়ানো একান্তই প্রয়োজন বলে দাবি জানানো হয়েছে৷ 

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে আসার ও স্কুলে দৈনন্দিন পাঠদান চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্যের সমস্ত কিছু খোলা, ট্রেন-বাস- ট্রাম- অটো-মেট্রো সবকিছু চলছে৷ হাটবাজার-দোকানপাট, অফিস-আদালত সর্বত্র মানুষ যাচ্ছেন৷ ছাত্ররা প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাচ্ছে৷ মাঠে খেলতে যাচ্ছে৷ অন্য বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, এসব দেখেও রাজ্যের শিক্ষা দফতরের টনক নড়ছে না, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ৷ যাদের একমাত্র ভরসা বিদ্যালয়, অথচ রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নির্দেশ না আসায় শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে যেতে চাইলেও যেতে পারছেন না, ফলে সমাজের অন্য পেশায় নিযুক্ত মানুষদের কাছে শিক্ষকদের সম্পর্কে একটা নেতিবাচক বার্তা পৌঁছচ্ছে৷ এটা তাঁরা মেনে নেবেন না বলেও জানানো হয়েছে৷ স্কুল না খুললে সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষকরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন, প্রয়োজনে জেলা শিক্ষা পরিদর্শকের দফতর ও রাজ্যের শিক্ষা দফতরে বিক্ষোভ ও ঘেরাওয়ের  কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 20 =