নাগরিক আইনে স্থগিতাদেশে ‘না’, কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

নাগরিক আইনে স্থগিতাদেশে ‘না’, কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

458880fda7100fb0d368f346835e6dd3

নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে চলতে থাকা নাগরিক আইন বিতর্কের মাঝে সিএএ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের৷ আজ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৭৫টি মামলার শুনানি হয় দেশের শীর্ষ আদালতে৷ নাগরিক আইনে স্থগিতাদেশ না দেওয়া হলেও মামলার গুরুত্ব বুঝে পৃথক সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ আদালতের৷

এদিন দীর্ঘ শুনানির পর তিন বিচারপতির বেঞ্চের তরফেই জানানো হয়, ১৪৪ আবেদন ছাড়া অন্য নতুন কোনও আবেদনে শুনানি হবে না৷ নতুন করে আবেদনের ওপর শুনানি করা হবে না৷ ১৪৪টি আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত৷  আদালতে ছয় সপ্তাহ সময় চেয়েছে কেন্দ্র সরকার৷ কিন্তু, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ চার সপ্তাহের মধ্যে নাগরিক আইন সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট আদালতকে জানানোর কথা জানানো হয়েছে৷ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে আদালত৷ পঞ্চম সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা৷ ফলে, আপাতত এই মামলার উপর কোনও স্থগিতাদেশ থাকছে না৷

জানা গিয়েছে, আজ মহুয়া মৈত্র-সহ কেরলের ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের দায়ের করা মোট ৭৫টি মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকা তিন সদস্যের বেঞ্চ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদ, বিচারপতি এস আবদুল নজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়৷

সংসদে পাশ হয়ে হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর নাগরিক আইন এখন আইনে পরিণত হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে আইন কার্যকর করার কথাও সাফ জানানো হয়েছে৷ কিন্তু, আইন কার্যকর হলেও থামেনি বিতর্ক-প্রতিবাদ৷ নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করছে অবিজেপি সমস্ত বিরোধী দল৷ আইনের পক্ষে জনমত তৈরিতে জোর দিয়েছে বিজেপি৷নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবেই বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ দেশবিরোধী কাজ হলে গ্রেপ্তারিরও বার্তা দিয়ে রেখেন অমিত শাহ৷ গ্রেপ্তারিত হুঁশিয়ারি নিয়ে গোটা দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক৷ আর এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল৷

নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী কপিল সিবাল৷ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলেও দাবি করেন সিবাল৷ নাগরিক আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে ১৪৪টি আবেদন জমা পড়েছে বলে খবর৷ সেই আবেদন খতিয়ে দেখার কাজ চলছে বলে খবর৷ সিবালের দাবি, ভারতের নাগরিকত্ব পেতে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ হওয়ার প্রয়োজন নেই৷ বিদেশ থেকে আসা যে কেউ ভারতের নাগরিক হওয়ার আবেদন করতে পারেন৷ ফলে সংবিধানকে লঙ্ঘন করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ অবৈধ বলেও আদালতে দাবি সিবালের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *