কলকাতা: শিক্ষার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শুক্রবার ইডির জেরার মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে৷ টানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরন তিনি৷ তবে ১১ ঘণ্টা ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নবাণের মোকাবিলা করার পর বিন্দুমাত্র ‘কম্পিত’ নন নেত্রী-অভিনেত্রী৷ বরং, তাঁর বক্তব্য, চাইলে তাঁকে টানা ২৪ ঘণ্টাও জেরা করতে পারেন ইডি অফিসাররা৷ তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করবেন৷ যতবার ডাকা হবে, ততবারই হাজিরা দেবেন৷ কারণ, ‘এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লাখো লাখো ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ।’ আর তাঁদের কথা ভেবেই তাঁর এই অবস্থান৷
ইডির তলব নিয়ে পরোক্ষে কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা এবং হয়রানির অভিযোগও এনেছেন নেত্রী-অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ৷ তাঁর কথায়, ‘‘প্রচার চলাকালীন কেন ডাকা হল, বুঝতেই পারছেন… উদ্দেশ্য কি। তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত৷ এটার সঙ্গে লাখো লাখো ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ জড়িয় তাই ওরা যতবার ডাকবে ততবারই যাব৷’’
শুক্রবার প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সায়নীর আয় ব্যায়, তাঁর সম্পত্তির হিসাব জানার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ এই বিষয়ে একটি ফর্মও ফিল-আপ করতে বলা হয়েছিল তাঁকে৷ সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি নিয়ে ৫ জুলাই তাঁকে ফের তলব করেছে ইডি৷ সেদিন তি আইনজীবী সঙ্গে নিয়ে যাবেন? জানতে চাওয়া হলে একোরে ফিল্মি কায়দায় সায়নীর বলেন, “ল-ইয়ার কি! আমি তো আছি বস! হাম হ্যায় না!” এর পর নিজেই কুন্তলের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “আমি ’২১ সালে তৃণমূলে যোগ দিই৷ তারপরই কুন্তলের সঙ্গে পরিচয়৷ যদি লাভান্বিত হয়ে থাকি তাহলে নিশ্চয়ই সেটা সামনে আসবে”৷