স্বপ্ন যেন। মহাকাশের উড়ানে সেই স্বপ্ন যেন পেল সাফল্য। মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে সেই দিন এল অবশেষে, যখন একজন সৌদি মহিলা মহাকাশচারি হিসেবে যাত্রা শুরু করলেন। নাম রায়ানাহ বারনাভি। যিনি ইতিহাস তৈরি করলেন। দেখালেন মধ্য-প্রাচ্যের দুনিয়ায় মহিলাদের পিছিয়ে থাকার দিন হয়ত এভাবেই শেষ হবে। মহাকাশে মহাকাশচারী সৌদি আরবের রায়ানাহ বারানাভি। যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে রবিবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেক রওনা দিল অ্যাক্সিওম মিশন-২। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অ্যাক্সিওম স্পেস আয়োজিত মিশনে আছেন সৌদি আরবের দুই নভোচরী।
এর আগে ১৯৮৫ সালে সৌদির একজন নভোচরী প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ মহাকাশ অভিযানে যান। তবে সৌদির কোনও নভোচরী এই প্রথম স্পেশ স্টেশনের কক্ষপথ পরীক্ষাগারে যাবেন। সৌদি আরব ২০১৮ সালে সৌদি কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। উল্লেখ্য, তারাই এই মিশনটি পরিচালনা করেছে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রায়ানাহ বারনাভি সম্পর্কে-
• ৩৩-৩৪ বছরের রায়নাহ বায়োমেডিক্যালে দুটি ডিগ্রি অর্জন করেন
• নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন
• ক্যানসার স্টেম সেল গবেষণায় প্রায় এক দশকের মতো কাজ করার অভিজ্ঞতা
দিন দশেকের এই মহাকাশযাত্রায় বারনাভির সঙ্গী আলি আল করনি নামে আরও এক সৌদি মহাকাশচারী। স্পেশ অ্যাক্স ড্র্যাগন- মহাকাশচারীদের মহাকাশকেন্দ্রে পৌছে দেওয়াই এই মহাকাশযানের কাজ। রায়ানা ও আলি ছাড়াও আছেন নাসার দুই মহাকাশচারী। মহাকাশযানের চালকের দায়িত্বে আমেরিকার জন শফনার। মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগেই বলা যেতে পারে এক ইতিহাস তৈরি হলো। সৌদি আরবের সিদ্ধান্তও ছিল বেনজির ও ঐতিহাসিক। যেখানে বারানাভিকে মহাকাশচারী হিসেবে সামনে আনার সিদ্ধান্ত সৌদি আরব নিতে পেরেছে। এগিয়ে দিতে পেরেছে হাত। স্বপ্ন দেখতে পেরেছেন রায়ানাহরা। গত বছর সেপ্টেম্বরেই সৌদি জানিয়েছিল, তারা মহাকাশে মহিলা মহাকাশচারী পাঠাবে। তবে, তখন জানা গিয়েছিল ২০৩০ সালে মহাকাশে অভিযান করতে চাইছে তারা। এবার একধাক্কা এগিয়ে এল সেই সময়সীমা। ২০২৩ সালেই হল এই ঐতিহাসিক অভিযান। উজ্জ্বল নক্ষত্র রায়ানাহ বারনাভি।