মুম্বই: ফের কর্কট রোগের হানা বলিউডে। ইরফান খান, ঋষি কাপুর, মনীষা কৈরালা, সোনালি বেন্দ্রের পর এবার অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার। জানা গিয়েছে লাং ক্যান্সারের থার্ড স্টেজ চলছে অভিনেতার। সেই কারণে চিকিৎসার জন্য মার্কিন মুলুকে রওনা দিতে পারেন তিনি। তবে তাঁর স্ত্রী মান্যতা ও ছেলেমেয়েরা দুবাইয়ে আটকে পড়েছেন। তাই এখনই অভিনেতা আমেরিকা যাবেন নাকি কিছুদিন অপেক্ষা করবেন, তা এখনও জানা যায়নি।
কিছুদিন আগেই সঞ্জয় দত্তের অসুস্থতার খবর সামনে আসে। জানা যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা। করোনা পরিস্থিতিতে সঞ্জয় দত্তর হাসপাতলে ভর্তি নিয়ে ভয়ের সঞ্চার হয় অনুরাগী মহলে। কিন্তু করোনা পরীক্ষার পর জানা যায় এই মারণ ভাইরাস বাসা বাঁধেনি মুন্নাভাইয়ের শরীরে। অভিনেতার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। অভিনেতা নিজেও সোশ্যাল সাইটে সে কথা জানান। এরপর নন কোভিড আইসিইউ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল সঞ্জয় দত্তকে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। অভিনেতার শরীরে হঠাৎ কেন অক্সিজেনের ঘাটতি হল, তা জানতে আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়। তবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় অভিনেতাকে।
আরও পড়ুন: ফের দ্বন্দ্ব বলিউডে, টিম কঙ্গনা বয়কটকে সমর্থন কুবরা সইতের
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সঞ্জয় দত্ত ঘোষণা করেছিলেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি কিছুদিনের জন্য সিনেমা থেকে বিরতি নিচ্ছেন। তবে অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের চিন্তা করতে বারণ করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরবেন। তারই মধ্যে এল এই দুঃসংবাদ। জানা গেল ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত সঞ্জয় দত্ত।
এবছর এপ্রিল মাসে ক্যান্সারের কারণে ভারতীয় সিনেমা হারায় দুই জনপ্রিয় অভিনেতাকে। একজন ইরফান খান, অন্যজন ঋষি কাপুর। ২৯ এপ্রিল কোলন ইনফেকশনের কারণে প্রয়াত হন ইরফান খান। ঠিক তার পরদিনই কাপুর পরিবারের তরফে আসে দুঃসংবাদ। জানা যায় পরপারে চলে গিয়েছেন অভিনেতা ঋষি কাপুরও। এই দুই অভিনেতার ক্যান্সারের কথা প্রকাশ্যে আসে ২০১৮ সালে। দুজনেই বিদেশে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। গত বছর দুজনেই দেশে ফেরেন। কিন্তু শোনা যাচ্ছিল যে করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত চেকআপ করানো হচ্ছিল না ঋষি কাপুর ও ইরফান খানের। যার ফলে অকালে বলিউডের আকাশ থেকে ঝরে গেল দুই তারকা। এর চার মাস পরই সঞ্জয় দত্তের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবরে চিন্তায় অনুরাগী মহল। আশঙ্কা ভিড় করেছে সিনে প্রেমীদের মনেও।