sandeep
কলকাতা: তারাদের দেশে ঘুরে বেরানোর ইচ্ছে কার না থাকে৷ না, সশরীরে হয়তো যাওয়া যায় না সেখানে৷ কিন্তু দূরবীনে চোখ রেখে সেই স্বাদ পূরণ করা যায় অনেকটাই৷ মহাকাশের মহাজাগতিক ঘটনাবলির সাক্ষী থাকে প্রয়োজন শক্তিশালী টেলিস্কোপ। কিন্তু, তার যে দাম অনেক। এখন উপায়৷
কথায় বলে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়৷ সেই ইচ্ছাশক্তির জোরেই দাঁতনের যুবক সন্দীপ সিংহ বানিয়ে ফেলেছেন সস্তার টেলিস্কোপ৷ যাতে অনুসন্ধিৎসু মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা মহাকাশের মহাজাগতিক অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত না হন। সন্দীপের দাবি, তিনি ওই টেলিস্কোপে চোখ রেখেই শনির বলয় দেখতে পেয়েছেন৷ চাঁদের ভেতরে গহ্বরগুলিও স্পষ্ট ধরা দিয়েছে। এমনকী মেপে ফেলেছেন চাঁদের ব্যাসও।
দাঁতনের নতুন বাজারের বাসিন্দা সন্দীপ পেশায় শিক্ষক৷ তিনি স্থানীয় দাঁতন হাইস্কুল ও জাহালদা হাইস্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষক। কম্পিউটার নিয়ে পড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মডেল বানানোটা তাঁর শখ৷ আগস্ট মাসে একাধিক মহাজাগতিক কর্মকাণ্ড দেখা যাবে। একথা আগেই বলা হয়েছিল৷ ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে ফেলেছে ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান ৩। ২৭ আগাস্ট, অর্থাৎ রবিবার পৃথিবীর ঠিক সোজাসুজি চলে আসবে শনি। ওই দিন দেখা যাবে শনির বলয়ও। সেইসব মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতেই ‘গ্যালিলিয়ান’, ‘নিউটনিয়ান’ সহ চার ধরনের টেলিস্কোপ বানিয়েছেন দাঁতনের এই তরুণ। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এবং একেবারে কম খরচে এই টেলিস্কোপগুলি বানিয়েছেন তিনি। সন্দীপ জানান, পিভিসি পাইপ ও বিভিন্ন জায়গা থেকে লেন্স জোগাড় করে এনে তিনি এই টেলিস্কোপগুলি বানিয়েছেন৷ মাত্র দশ হাজার টাকায় তিনি বানিয়েছেন সবথেকে বড় টেলিস্কোপটি।