সাগরদিঘি: তৃণমূলের তিন বারের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর সাগরদিঘি কেন্দ্র প্রতিনিধিহীন হয়ে পড়ে৷ সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে৷ আজ ভোট গণনা৷ বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এ বার সাগরদিঘি আসনে ত্রিমুখী লড়াই হয়। তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হন বাইরন বিশ্বাস এবং পদ্মশিবিরের হয়ে ভোটে দাঁড়ান দিলীপ সাহা। ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৩টি বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন ছিল তৃণমূলের দখলে। তবে এ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই৷
আরও পড়ুন- সাগরদিঘিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, দ্বিতীয় রাউন্ড গণনা শেষে এগিয়ে কংগ্রেস
গণনার শুরুতেই পোস্টাল ব্যালট গোনা হয়, তাতে ৫১৫ ভোটে এগিয়ে যান কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। অষ্টম রাউন্ড গণনা শেষে ৭,০৯০ ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী। আপাতত কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৩৩,৯৬২। সেখানে তৃণমূল পেয়েছে ২৬,৮৭০ ভোট। বাইরনের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়৷
পর পর ২টি রাউন্ডে এগিয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বলেন, তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হবেন তিনি৷ এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। জনগণ রাজ্যের শাসকদলকে জবাব দিয়েছে বলেও দাবি তাঁর। বাইরনের কথায়, ‘‘২টি অঞ্চল নিয়ে ভয় ছিল। সেই দুটি জায়গাতেই আমরা এগিয়ে গিয়েছি। চিন্তার কোনও ব্যাপার নেই। আমরা সব জায়গাতেই এগিয়ে যাব। জনগণ জবাব দিয়েছেন। আমরা জিতলে কারও সঙ্গে আঁতাঁত করব না।”
সাগরদিঘি নিয়ে প্রথম থেকেই দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ তিনি আগেই বলেছিলেন, এখানে তৃণমূলের জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাঁর সেই মন্তব্যই সত্যি হতে চলেছে৷ সম্ভবত, একেবারে সাধারণ একজন সদস্যকে প্রার্থী করেই হারতে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূল যে বিরাট ব্যবধানে হারতে চলেছে, তেমনটা নয়। অষ্টম রাউন্ড গণনার শেষে কংগ্রেস প্রার্থী তথা জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস প্রায় আট হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
যে ট্রেন্ড সামনে আসছে, তাতে আশার আলো দেখছে বাম-কংগ্রেস জোট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই কেন্দ্রের ভোটকে সব কটি দলই অ্যাসিড টেস্ট বলে ধরে নিচ্ছে। বিধানসভা ভোটে যে সবুজ ঝড় উঠেছিল, তাতে পঞ্চায়েতের আগে হাওয়া বোঝার প্রয়োজন ছিল বাম, কংগ্রেসেরও।
এদিকে, উপনির্বাচনের ঠিক আগে এই বাইরন বিশ্বাসের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও কংগ্রেস দাবি করেছিল, এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে, বাইরনকে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রাথমিক প্রবণতা সামনে আসতেই বায়রন বলেন, আমরা এখন বিজয়োৎসবের পরিকল্পনা করছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই উপনির্বাচন নিশ্চিত ভাবেই বাম–কংগ্রেস শিবিরে অক্সিজেন যোগাবে৷ তবে এবারও ফিকে বিজেপি৷ কোনও ফাইটই দিতে পারল না গেরুয়া দল৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>