গোয়ালিওর: কংগ্রেস ছেড়ে অনেকদিনই হল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কিন্তু তাকে নিয়ে বিতর্ক এখনো কমেনি। বরং দিন দিন বাড়ছে। এবার কংগ্রেসের তরফে জ্যোতিরাদিত্যকে বলা হল বিশ্বাসঘাতক বা গদ্দার! কিন্তু এই মন্তব্য একেবারেই সমর্থন করেন না কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। এ ব্যাপারে তিনি পুরনো সতীর্থের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন নিজের অভিমত।
রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের বক্তব্য, কে কোন দলে যাবে সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে কারো কিছু বলার থাকতে পারে না। কে কোন দলে যোগ দেবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। সবশেষে জনতা সিদ্ধান্ত নেবে সে ঠিক করেছে না ভুল। কিন্তু তার আগে কেউ কাউকে এইভাবে আক্রমণ করতে পারে না। ব্যক্তি স্বাধীনতা সকলের রয়েছে, তা বলে কেউ কখনো বিশ্বাসঘাতক বা গদ্দার হতে পারে না। এই মন্তব্য করে ফের একবার অন্য এক ইস্যুতে দল বিরোধী মন্তব্য করলেন শচীন।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে শচীন পাইলট বলেন, মানুষ ভোট দিয়েছে বলেই রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল, এখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, কিন্তু জনতা সেটা মানতে চাইছে না। রাজ্যে নির্বাচন হলে কংগ্রেসের জয় সম্ভাবনা প্রবল, এতে কোন সন্দেহ নেই বলে দাবি করেন শচীন। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেসের প্রতিনিধি বড় ব্যবধানে জিতবে বলে তিনি আশাবাদী। শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশ নয়, বিহারের বিভিন্ন জায়গাতেও কংগ্রেসের ওপর মানুষ ভরসা রাখবে বলে দাবি করেন পাইলট। প্রসঙ্গত, আগামী মাসের ৩ তারিক মধ্যপ্রদেশে উপনির্বাচন সংগঠিত হতে চলেছে। ১০ নভেম্বর নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দল থেকে পদত্যাগ করার পরেই জল্পনা প্রবল ছিল তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন। অবশেষে সেটাই হয়। যদিও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পরে রাজস্থানের শচীন পাইলটকে নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়, তারও বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা বাড়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পথে হাঁটেনি শচীন পাইলট। নিজের দল কংগ্রেসেই থেকে যান তিনি।