কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে বুধবার দ্বিতীয়বার তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ কিন্তু তাঁর হাজিরা দেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়৷ বুধবার সকালে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, সায়নী ভোটের কাজে ব্যস্ত৷ আজ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে পারবেন না যুবনেত্রী৷ ভোট মিটলে সায়নী ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন বলেও জানান কুণাল।
জানা গিয়েছে, তিনি যে বুধবার ইডি দফতরে যেতে পারছেন না, সে বিষয়টি জানিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মেল করে তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন সায়নী। বুধবার দুপুরে সায়নীকে দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে তৃণমূলের ভোটপ্রচারে৷ সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী বলেন, “ইডিকে নথি পাঠিয়ে দিয়েছি। বলেছি প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করব৷ কিন্তু ভোটের আর মাত্র দু’দিন বাকি। দলের যুব সভানেত্রী হিসাবে আমার একটা দায়িত্ব আছে।” সেই সঙ্গেই তিনি জানান, “১১ তারিখের পর, যত বার ডাকবে, তত বার যাব।”
বুধবার সকালে সায়নীর অবস্থান নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করেন কুণাল এবং যুব সভানেত্রীর সঙ্গী৷ কুণাল বলেন, “আমি যতদূর জানি, সায়নী আজ পূর্ব বর্ধমানের গলসির দিকে প্রচারে যাচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েওছেন৷ ভোটের পর যে দিন ইডি ডাকবে, তিনি যাবেন৷ নিশ্চিতভাবে তদন্তে সহযোগিতা করবেন।” অন্য দিকে, সায়নীর সঙ্গে আগের দিন যিনি সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন, সেই সঙ্গী জানান, যথাসময়েই ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন সায়নী৷ যদিও অবশেষে কুণালের দাবিই মিলল৷
এদিকে, এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ এক ব্যক্তিকে ফাইল হাতে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যম তাঁর কাছে জানতে চায়, তিনি সায়নীর আইনজীবী কি না। জবাবে ওই ব্যক্তি ‘হ্যাঁ’ বলেন৷ তবে সায়নীর হাজিরা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি৷ তবে তাঁর হাতে থাকা তিনটি ফাইল দেখে মনে করা হচ্ছে, সায়নী নিজে উপস্থিত না থাকলেও তদন্তে সহযোগিতার স্বার্থে আইনজীবী মারফত ইডি দফতরে নথি পাঠিয়ে দিয়েছেন৷