কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসূত্রের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন নেত্রী-অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ৷ সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয় তৃণমূলের যুব সভানেত্রীকে৷ এর পরেও আত্মবিশ্বাসী সায়নী৷ জানিয়েছেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত৷ বহু ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে৷ তাই যতবার ডাকা হবে, তিনি আসবেন৷ প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা ইডি দফতরে থাকবেন৷ এই মামলায় বুধবার ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে৷ ইডি-র জেরার মুখে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার থেকে খানিকটা দূরে ছিলেন সায়নী। তবে সেটা ছিল সাময়িক বিরতি৷ মঙ্গলবার থেকে ফের প্রচারে নামছেন যুব সভানেত্রী। এদিন তৃণমূলের প্রচারকারীদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে এই অভিনেত্রীর৷ প্রচারের শেষবেলায় আজ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের করাজগ্রাম পঞ্চায়েত ও সিংহী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জনসংযোগ সারবেন সায়নী।
শুক্রবার ইডির জেরার পর মাঝের কয়েকদিন প্রচারে দেখা যায়নি সায়নীকে। প্রচারকারীদের তালিকা থেকে বাদই রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ কিন্তু সায়নীকে দ্বিতীয়বার তলবের ঠিক আগে, অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁকে ফের প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দল। সায়নীর প্রচার কর্মসূচি দেখে আলোচনাও শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। তবে এটা সাফ যে, তাঁকে প্রচারে পাঠিয়ে দলের শীর্ষনেতৃত্ব সায়নীকে পাশে থাকার বার্তাই দিচ্ছেন৷
সায়নী নিজে দলকে জানিয়েছেন যে, তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতির জালে জড়ানো যাবে না৷ ইডির জেরার পরেও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে যুব সভানেত্রীকে। ফলে তাঁকে প্রচারে পাঠাতে দ্বিধা নেই৷ দলের অনেকেই বলছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সায়নীকে ডেকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এখন উচিত বিজেপির উপর ‘পাল্টা চাপ’ তৈরি করা।