কিয়েভ: ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করে চলেছে রাশিয়া৷ রুশ বাহিনী ইউক্রেনের উপর ক্লাস্টার বোমা ও ভ্যাকিউম বোমা নিক্ষেপ করছে বলে সোমবারই আমেরিকাকে জানিয়েছিল মানবাধিকার সংগঠন ও ইউক্রেনের দূত৷ তাদের দাবি, এই ধরনের বোমাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন৷ এর পরেও পুতিনের সেনা নিষিদ্ধ ক্লাসটার বোমা ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷
আরও পড়ুন- আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা! ফুরোবে হাসপাতালের অক্সিজেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে WHO
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা বর্ষণ হচ্ছে৷ একটি স্কুলেও রুশ সেনা হামলা চালিয়েছে বলে খবর৷ সে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল বেশ কিছু মানুষ৷ জেনেভা চুক্তি লঙ্ঘন করে রাশিয়ার ভ্যাকিউম বোমার ব্যবহার নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে৷ কিয়েভ দখলে মরিয়া রুশ বাহিনী পরোয়া করছে না কোনও নিয়মনীতিরও৷ প্রথম থেকেই নিয়মকে অগ্রাহ্য করার সাহস দেখিয়েছিল রাশিয়া। এবার সেই তালিকাতে যুক্ত হল ভ্যাকিউম বোমার ব্যবহার৷ এই ধরনের বোমার ক্ষতিকারক দিকটি ভেবে চিন্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷
কিন্তু কী এই ভ্যাকিউম বোমা? এটি একটি মারাত্মক অস্ত্র৷ সাধারণভাবে ভ্যাকিউম বোমাকে থার্মোবেরিক বোমা নামে অভিহিত করা হয়৷ এই বোমার বিস্ফোরণের ভয়াবহতা অত্যন্ত বেশি। প্রথম বিস্ফোরণের পর এলাকা জুড়ে একটি জ্বালানি তেলের আস্তরণ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হয় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ৷ দ্বিতীয় বিস্ফোরণের পরেই এলাকার অক্সিজেন নিঃশেষিত হয়ে যায়। ভ্যাকিউম বোমার বিস্ফোরণে তাপমাত্র বহুগুণ বেড়ে যায়৷ অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মানবদেহ বাষ্পীভূত হয়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে এই বোমার ব্যবহার সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। এর পরেও রাশিয়া যে ভাবে ভ্যাকিউম বোমার ব্যবহার করছে, তাতে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ তা নিয়ে অবশ্য আদৌ চিন্তিত নন পুতিন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>