কলকাতা: দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির দিকে চোখ রাখলে টলিউডের অপ্রত্যাশিত যোগ চোখে পড়ার মতো। রুদ্রনীল ঘোষ, রাজ চক্রবর্তী,পায়েল সরকার, সায়নী ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, যশ দাশগুপ্ত- ভোটের আগে একে একে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন অনেকেই। কিন্তু এই রাজনীতি কি ফাটল ধরাচ্ছে টলিউডের ঐক্যে? উঠছে প্রশ্ন।
একুশের ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে নতুন স্লোগান প্রকাশ করেছে তৃণমূল। “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”, এই ট্যাগলাইনকে হাতিয়ার করে মসনদ দখলের হ্যাটট্রিক করতে চাইছে শাসকদল। কিন্তু সম্প্রতি এই স্লোগান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। যেহেতু মেয়েদের বিয়ের পর চলে যেতে হয় পরের বাড়িতে, বাবুল সুপ্রিয়ের মতে তাই “মেয়েরা পরের ধন”। ঘাসফুলের স্লোগান অনুযায়ী যদি মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মেয়ে হন, তবে এবার ভোটে তাঁকেও ‘পরের সম্পত্তি’ হিসেবে বিদায় করে দেওয়া হবে, এমনটাই ট্যুইট করেছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের গেরুয়া সাংসদ। এই বিতর্কিত ট্যুইটের সমর্থনেই এবার সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া রাজ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
বাবুল সুপ্রিয়ের ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক ছড়ানোর পর অনেকের মতো ঘটনার সমালোচনা করেন রাজ চক্রবর্তীও। মেয়েরা কখনোই পরের সম্পত্তি হতে পারে না, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এই কথাই বুঝিয়ে দিয়েছেন নেটিজেন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে রাজ বলেন, “বিজেপি মেয়েদের পরের সম্পত্তি ভাবে, সে কারণেই তারা মেয়েদের অসম্মান করে। দেশ আমাদের মা, হয়তো সেটাও এবার ওরা অন্যদের হাতে দিয়ে দেবে।” রাজ চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে বাবুলের সমর্থনে সুর চড়ান রুদ্রনীল ঘোষ। টলিউড পরিচালকের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, “তুই তাহলে শুভশ্রীর বাড়িতে গিয়ে থাকছিস না কেন?” বলা বাহুল্য, এহেন ব্যক্তিগত আক্রমণে বেড়ে গেছে বিতর্ক।
অবশ্য গেরুয়া নেতার আক্রমণের পাল্টা দিয়ে রাজের প্রশ্ন, “এখানে শুভশ্রী কোথা থেকে এল?” তবে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকতে আপত্তি নেই বলেও জানান তিনি।