মোহন ভাগবতের ভাষণ সংবলিত বই ছাপা হল উর্দুতে

মোহন ভাগবতের ভাষণ সংবলিত বই ছাপা হল উর্দুতে

85313c5e3ee4ac8e5565125a77ffd6e6

 
নয়াদিল্লি: মুসলিম বিরোধী তকমা নিজেদের গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া গেরুয়া ব্রিগেড। আরএসএস মানেই যে শুধু হিন্দুদের সংগঠন নয়। যে সমস্ত ভারতীয়রা অখণ্ড ভারতের তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তাঁদের সকলের সংগঠন আরএসএস, সে হিন্দু হোক, বা মুসলিম৷ ভারতীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে এই বার্তা পৌঁছে দিতে এবার সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতের ভাষণ সংবলিত বই ছাপা হল উর্দুতে। যাতে দেশের উর্দুভাষী মানুষের মনে সংঘ সম্পর্কে মুসলিম বিরোধী ধারণা দূর করা যায়।

সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের লেখা বই ‘ভবিষ্যতের ভারত’ এর উর্দু সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। উর্দুতে যার নাম ‘মুস্তাকবিল কা ভারত’। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর প্রমোশন অফ উর্দু ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে। এই বইটি মূলত ভাগবতের বিভিন্ন ভাষণের সম্মিলিত সংস্করণ, যা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ‘ভবিষ্যতের ভারত’ নামক বইটি থেকে অনুবাদ করা। বইটি উর্দুতে অনুবাদ করেছেন ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর প্রমোশন অফ উর্দু ল্যাঙ্গুয়েজের ডিরেক্টর ডঃ আকিল আহমেদ। তাঁর দাবি, মোহন ভাগবতের এই বইটি উর্দুতে অনুবাদ করার উদ্দেশ্যই হল ভারতীয় উর্দুভাষী মুসলিমদের মনে আরএসএস সম্পর্কে যেসব ভুল ধারণা রয়েছে, সেটা মুছে ফেলা। এর মাধ্যমে আরএসএসের ভাবধারা এবং আদর্শ সম্পর্কে মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা সহজেই জানতে পারবেন। উর্দু ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ভারতীয় ভাষায় এই বইটি অনুবাদ করা হয়েছে।

ডঃ আকিল আহমেদ বলছেন, আরএসএসের ধারণাটা মুসলিমদের ছাড়া অসম্পূর্ণ। মোহন ভাগবতজির ভাষণগুলিতে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। হিন্দুত্ব মানেই শুধু হিন্দু ধর্ম নয়। এটা আসলে ভারতের সংস্কৃতি।  আরএসএসের আদর্শ ও বিচারধারা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং আরএসএস শাখায় যোগ দিতে ভারতীয় মুসলিমদের আহ্বান করেছেন ডঃ আহমেদ। তাঁর দাবি, ভাগবতের এই বই পড়লে ভারত সম্পর্কে মুসলিমদের ধারণা বদলে যাবে। আরএসএসের সংখ্যালঘু শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের প্রচারক ইন্দ্রেশ কুমার বলছেন, ‘এটা উর্দুভাষী মুসলিমদের মূলধারায় আনার জন্য এবং দেশ গঠনে তাঁদের সামিল করার জন্য এই প্রয়াস।’ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর প্রমোশন অফ উর্দু ল্যাঙ্গুয়েজের সমস্ত কর্মীকে এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল৷ এমনকি অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলে শো-কজ নোটিস জারি করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়৷ যদিও পরে সংস্থার তরফে বলা হয়, এটা শুধু একটা এনকোয়ারি, যে কেন অনুষ্ঠানে কোনও কর্মী উপস্থিত থাকতে পারলেন না৷ এটা মোটেই নয় যে, অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতির জন্য কাউকে বরখাস্ত করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *