চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি গুলি আরপিএফ জওয়ানের, পুলিশ আধিকারিক-সহ হত চার

চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি গুলি আরপিএফ জওয়ানের, পুলিশ আধিকারিক-সহ হত চার

মুম্বই: চলন্ত ট্রেনে গুলি৷ বেঘোরে প্রাণ গেল চার ব্যক্তির৷ সোমবার ভোরে মুম্বইগামী জয়পুর এক্সপ্রেসের ঘটনা৷ ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক রেল পুলিশ (আরপিএফ) টহল দেওয়ার সময় গুলি চালান৷ সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই চলন্ত ট্রেনে চার যাত্রীকে হত্যা করেন তিনি। নিহত চার জনের মধ্যে একজন রেল পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর এবং একজন ট্রেনের প্যান্ট্রি কার কর্মী বলে জানা গিয়েছে৷ জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ 

রেলের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টা ২৩ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ সেই সময় ট্রেনটি পালঘর স্টেশনের উপর দিয়ে যাচ্ছিল৷ আচমকাই নিজের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র বার করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন ওই পুলিশকর্মী। তাতেই ঘটে রক্তারক্তি কাণ্ড৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীর নাম চেতন সিং।

সংবাদ সংস্থা এএনআই পশ্চিম রেলকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, জয়পুর এক্সপ্রেসের বি ফাইভ কোচে মোতায়েন ছিলেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী চেতন। ভোর রাতে এই হত্যাকাণ্ড চালানোর পর পালঘরের পরের স্টেশন দাহিসারে ট্রেনের চেন টানেন তিনি৷ ঝাঁপ দিয়ে নামার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু, তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা পিস্তলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

কী কারণে ওই আরপিএফ কর্মী এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে এক জন চেতনের পূর্বপরিচিত ছিলেন৷ তবে তাঁদের মধ্যে কোনও বিবাদ ছিল না৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুলিশকর্মী মানসিক ভাবে সুস্থ ছিলেন না৷ বেশ কিছু দিন ধরেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইছিলেন। ঘটনার আগের দিনও বলেছিলেন, তাঁর ধৈর্যহীন লাগছে। সেই সময় তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়৷ পরে অবশ্য জানান, তিনি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন৷ 

ওই ঘটনার পর ট্রেনটিকে বরিভালি স্টেশনে থামানো হয়৷ মৃত দেহগুলিকে নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য বাবাসাহেব অম্বেডকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 4 =