চাঁদের বুকে অশোকস্তম্ভ এঁকে দেবে চন্দ্রযান ৩ এর রোভার ‘প্রজ্ঞান’, খোদাই করবে ইসরোর প্রতীক

চাঁদের বুকে অশোকস্তম্ভ এঁকে দেবে চন্দ্রযান ৩ এর রোভার ‘প্রজ্ঞান’, খোদাই করবে ইসরোর প্রতীক

নয়াদিল্লি: চাঁদের পথে পাড়ি দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৃতীয় চন্দ্রযান৷ সেখানে গিয়ে জলের সন্ধানের পাশাপাশি নুড়ি-পাথরও কুড়োবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’৷ সেই সঙ্গে আরও একটি কাজ করবে সে৷ যা চাঁদের বুকে গেথে দেবে ভারতের নাম৷ 

চন্দ্রযানে চাপিয়ে যদি পাঁচটি জিনিস পাঠাতে হয়, তা হলে কী কী হতে পারে? ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের আগে মজা করেই টুইটে জানতে চেয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। জবাবের তালিকা ছিল বেশ দীর্ঘ৷ কারও সুপুরিশ ছিল গঙ্গাজল, কারও আবার ব্যাকটিরিয়া৷ দেশের মাটি থেকে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের ছবি নিয়ে যাওয়ার কথাও অনেকে বলেছিলেন।

সেই দীর্ঘ তালিকা থেকে ইসরোর তৃতীয় চন্দ্রাভিযানে জায়গা করে নিল দুটি জিনিস- অশোক স্তম্ভ এবংয ইসরোর প্রতীক। তাই চাঁদের মাটিতে শুধু বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুসন্ধান আর মাটি-পাথর সংগ্রহের কাজেই থেমে থাকবে না রোভার প্রজ্ঞান৷ চাঁদের বুকে খোদাই করবে ‘অশোক স্তম্ভ’ এবং ইসরোর প্রতীকের ছাপ। চাঁদের মাটিতে এঁকে দেওয়া হবে মৌর্য সম্রাট অশোক নির্মিত সারনাথের সেই তিন সিংহ। যা এখন ভারতের জাতীয় প্রতীক। পাশাপাশি, আঁকা হবে ইসরোর প্রতীকও।

সব কিছু ঠিক থাকলে প্রায় ৪০ দিন পর, অর্থাৎ আগামী ২৩ বা ২৪ অগাস্টের মধ্যেই চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-৩-এর সৌরচালিত ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের মাটির চরিত্র, বিভিন্ন খনিজ পদার্থের উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি, যে অঞ্চল দিয়ে প্রজ্ঞান চলাচল করবে সেখানকার চাঁদের জমিতে অশোকস্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীক আঁকা হবে।

শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-৩। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য এখনও আসেনি৷ এর জন্য পাড়ি দিতে হবে আরও অনেকটা পথ। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ থেকে ল্যান্ডার বিক্রম সফল ভাবে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করার পর রোভার প্রজ্ঞানকে সঠিক ভাবে অবতরণ করাতে পারলেই, স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে ভারতীয় মহাকাশ অভিযানের নতুন ইতিহাস৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − seven =