চাঁদে ভোর হতেই বিক্রমের দোর খুলে বেরল রোভার প্রজ্ঞান

চাঁদে ভোর হতেই বিক্রমের দোর খুলে বেরল রোভার প্রজ্ঞান

rover pragyan

বেঙ্গালুরু: ইতিহাস গড়ে চাঁদের মাটি জয় করেছে ভারত৷ পালকের মতো চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম৷ এর অপেক্ষা ছিল রোভার প্রজ্ঞানের বেরিয়ে আসার পাল৷ সে কাজও সফল৷ বিক্রমের অবতরণের ১৪ ঘণ্টা পর তেমনটাই টুইট করে জানাল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। বিক্রমের পেটের কাছের দরজা খুলে ঢালু পথ বেয়ে নেমে আসে প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে অনুসন্ধান চালাবে এই রোভার৷ 

মোট ছ’টি চাকা রয়েছে প্রজ্ঞানের৷ তবে এর গতি খুবই কম৷ সেকেন্ডে মাত্র এক সেন্টিমিটার৷গুটি গুটি পায়েই চাঁদের পিঠে ঘুরে বেড়াবে সে৷ তবে চাঁদে ‘আসল’ কাজটি এই প্রজ্ঞানেরই।

বিক্রম যখন চাঁদে নেমেছে, তখন সেখানে সবে ভোর হয়েছে। ভোরের আলো ফোটার কিছু পরেই বিক্রমের পেটের কাছে থাকা দরজাটা খুলে যায়। ভূমিষ্ঠ হয় প্রজ্ঞান। আগামী ১৪ দিন চাঁদে তথ্য তলাশ করবে এই রোভার। এর শক্তির উৎস সূর্য। সোলার পাওয়ারে ভর করেই গুটি গুটি পায়ে হাঁটাচলা করবে প্রজ্ঞান। চাঁদে সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই প্রজ্ঞানের কাজও হবে শেষ। কারণ, সূর্যের আলো না থাকলে তার শক্তিও আর অবশিষ্ট থাকবে না।

চাঁদে এক দিন সম্পূর্ণ হতে পৃথিবীর হিসাবে সময় লাগে প্রায় ২৮ দিন। অর্থাৎ, চাঁদের এক বেলা পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। এই ১৪ দিনই প্রজ্ঞানের আয়ু। সূর্যের থেকে শক্তি নিয়ে কাজ করবে সে। সময়ের হিসাব কষেই সমস্ত পরিকল্পনা করেছে ইসরো।

প্রজ্ঞানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক দিকনির্দেশক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালানোর মাঝেই এঁকে দেবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং ইসরোর লোগো। প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে যে তথ্যসংগ্রহ করবে, তার পাঠাবে ল্যান্ডার বিক্রমে। বিক্রম সেই বার্তা পৌঁছে দেবে পৃথিবীতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + twelve =