মানুষের কাজ ছিনিয়ে নিচ্ছে রোবট! ভবিষ্যতের চাকরি প্রার্থীদের মাথায় হাত

বিভিন্ন কোম্পানি মানুষের থেকে বেশি রোবটের ভরসা করতে শুরু করেছে।

লন্ডন: অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের একটা রিপোর্ট বলছে, যত দিন যাচ্ছে রোবটিক্স নিয়ে আগ্রহ অনেক বেশি বাড়ছে। এই কারণে বিভিন্ন কোম্পানি মানুষের থেকে বেশি রোবটের ভরসা করতে শুরু করেছে। তাই বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে রোবটের প্রাধান্য বেশি হয়ে উঠছে মানুষের থেকে। আর এতেই অশনি সংকেত ভবিষ্যতের চাকরি প্রার্থীদের জন্য। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের কাজ ছিনিয়ে নিতে পারে রোবট, এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

বিজ্ঞান যত উন্নত হচ্ছে ততবেশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কদর বাড়ছে। অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ২ কোটি ম্যানুফ্যাকচারিং জব মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেবে রোবটরা। মূলত ফ্রন্ট ডেস্ক সার্ভিস বা টেলি কলিং কাজের ক্ষেত্রে মানুষের থেকে বেশি প্রাধান্য পাবে রোবট। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত পরিষেবা রোবট নিয়ে কাজ করা শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এমনকি জাপানের মতো দেশে এমন কিছু হোটেল রয়েছে যেখানে মানুষ কাজ করে না, করে রোবট।

অন্যান্য ম্যানুফ্যাকচারিং জব যেমন জামা কাপড় তৈরিতে রোবটের প্রাধান্য বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যে সমস্ত কাজে সবচেয়ে বেশি মেশিন ব্যবহার করা হয়, সেই সমস্ত কাজেই মানুষের থেকে বেশি প্রাধান্য পাবে রোবটরা। এমনকি কর্মরত কোন কর্মীদের সরিয়ে সেখানে রোবট নিয়ে আসা হতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা, হাসপাতালে রোবটের দিয়ে কাজ করানোর প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে দেখা গিয়েছে রোবটের প্রাধান্য। একাধিক এয়ারপোর্ট এবং হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষকে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক সরবরাহ করছে রোবটরা, এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে ভবিষ্যতে ডাক্তারদের সহকর্মী হিসেবে রোবটদের প্রাধান্য দেখা যাবে। বিশেষত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের ক্ষেত্রে মানুষের থেকে বেশি রোবটের উপর ভরসা রাখবে সকলে। 

হাসপাতালের পরিষেবা ছাড়াও, হোটেল পরিষেবা এমনকি ডেলিভারির কাজেও রোবটের ভূমিকা দেখা যেতে পারে। কারণ এইসব ক্ষেত্রে রোবটকে কন্ট্রোল করা অনেক বেশি সহজ এবং সময়োপযোগী। উন্নত টেকনোলজির মাধ্যমে রোবটকে কন্ট্রোল করা সাধারণ মানুষের পক্ষে জলভাত। যদিও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের নেতিবাচক দিকও রয়েছে প্রচুর। সেই নিয়ে গবেষণা চলছে ইতিমধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − thirteen =