আজ পূর্ণ লকডাউন, প্রশাসনের উদ্যোগে জনশূন্য রাজ্যের রাস্তাঘাট

বালুরঘাট থানার উদ্যোগে পুরো শহর জুড়ে চলছে টহলদারি। বাস স্ট্যান্ড এলাকা, সাধনা মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে বসেছে ব্যারিকেড। চলছে নাকা চেকিংও।

নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি নির্দেশ মেনে আজ গোটা রাজ্যে পালিত হচ্ছে পূর্ণ লকডাউন। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে সার্বিক লকডাউন থাকবে সেপ্টেম্বর মাসের ৭, ১১ এবং ১২ তারিখ। প্রথম দিকের টানা লকডাউনের রাশ আলগা হতে দেখা গিয়েছিল, নতুন দফায় তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র চোখে পড়ছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরলেই তাকে বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মাস্ক না পরলে গ্রেফতারও করা হচ্ছে কোথাও কোথাও। প্রশাসনের এই কড়াকড়ি দেখে তাই সাধারণ মানুষও বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

এই চিত্রই দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। ইদানীং সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক চেহারা নিয়েছে বালুরঘাটে। রেড জোন হিসেবে ঘোষিত হয়েছে ওই এলাকা। বৃহস্পতিবারের লকডাউন সফল করতে তাই বাড়তি উদ্যোগ নিতে দেখা গেল পুলিশ এবং প্রশাসনকে। বালুরঘাট থানার উদ্যোগে পুরো শহর জুড়ে চলছে টহলদারি। বাস স্ট্যান্ড এলাকা, সাধনা মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে বসেছে ব্যারিকেড। চলছে নাকা চেকিংও। অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ বেরলেই তাদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে অথবা ধমকে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কাজে সাধারণ মানুষ তাই যথেষ্টই খুশি।

কিছুদিন আগেই বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতি দোকানপাট খোলা রাখার সময়সীমা বাড়াতে আবেদন জানিয়েছিল প্রশাসনের কাছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা রাখার ছাড়পত্র ছিল তাদের কাছে। কিন্তু এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছিল ব্যবসায়ীদের। তার ওপর অল্পসময় দোকান খোলা থাকায় ভিড় বেড়ে যাচ্ছিল যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও গেছিল বেরিয়ে। এই সমস্ত কারণ দেখিয়ে তাঁরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলার আবেদন করে। এত সময় না দিলেও সময়সীমা দু’ ঘণ্টা বাড়িয়ে বিকেল চারটে পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেয় প্রশাসন। তাতে সন্তুষ্ট হয় ব্যবসায়ী সমিতি।   

শুধু বালুরঘাট বা দক্ষিণ দিনাজপুর নয়, লকডাউন সফল হওয়ার চিত্র গোটা রাজ্য জুড়েই। প্রশাসনের সক্রিয়তা তো আছেই সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা বেড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শহর কলকাতাও এর বাইরে নয়। সকাল থেকেই কার্যত জনশূন্য অফিস পাড়া, ধর্মতলা চত্বর। বরাবর যানজটের জন্য সুপরিচিত পার্ক সার্কাস সেভেন্ট পয়েন্টও ফাঁকাই। কাজেই লকডাউন যে একশো শতাংশ সফল সে কথা বলাই যায়।       

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =