কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের সমীকরণ ক্রমশই হয়ে উঠছে জটিল থেকে জটিলতর। একদিকে শাসকদলকে মসনদ থেকে সরাতে কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি। পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেস জোটও। তার উপর বাইরে থেকে একের পর এক দল রাজ্যে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে চলেছে। এমতাবস্থায়, সমঝোতার পথেও হাঁটতে পারে তৃণমূল।
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে শেষ হাসি হাসতে না পারলেও নীতীশ কুমার আর তাঁর বিজেপি জোটের দলের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি (RJD)। এবার তাঁরাই বাংলার নির্বাচনেও প্রার্থী দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু করল। আর এ রাজ্যে তাঁদের সঙ্গে বোঝাপড়া করবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বাংলার নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলবে আরজেডি।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের কারাবাস এবং অসুস্থতার পর দলের হাল ধরেছেন তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদব। তাঁর নেতৃত্বে বিহারে আরজেডি জিততে না পারলেও তাঁদের অবস্থান ভালো জায়গায়। মূলত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গেরুয়া ভোটে কোপ ফেলাই আরজেডির উদ্দেশ্য। জানা গেছে, রাজ্যে ৮টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে লালু প্রসাদ যাদবের দল। তবে শুধু বাংলাতেই নয়, আসাম বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী দেওয়ার কথা ভেবেছে তাঁরা। সেক্ষেত্রে আসনের সংখ্যা হবে ১২।
এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে মোটামুটি হৃদ্যতা রয়েছে আরজেডির। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক নেতা বলেন, “বাংলায় আমাদের প্রথম পছন্দ তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিকে হারানোই আমাদের লক্ষ্য।” তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ৩০ জানুয়ারি আরজেডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারি সিদ্দিকি এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্যাম রজকের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন কলকাতায়। অন্যদিকে, বিজেপির ঘর ছেড়ে বাংলায় প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শিবসেনা৷ ফলে, বাংলা ভোটের আগে অবাঙালি রাজনৈতিক দলের উৎসাহ, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷-ফাইল ছবি৷