richest beggar
কলকাতা: দোতলা বাড়ি… দামি মোটরসাইকেল, ২০ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন…বছরে আয় ২০ লক্ষ টাকা… ভাবছেন নিশ্চয়ই কোনও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর কথা বলছি… না… এই খতিয়ান এক ভিক্ষুকের। ভিক্ষা করে লাখ লাখ টাকা রোজগার করছেন ইন্দিরা বাই। ইন্দোর শহরের বাসিন্দা এই মহিলার পেশা ভিক্ষাবৃত্তি।
কিছু দিন আগেই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ভিখারি হিসেবে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ভারত জৈনর নাম। তার রোজগারের অঙ্ক, ঠাটবাট দেখলে চমকে উঠতে হবে রীতিমত। মাসে ৬০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা রোজগার করেন ভারত। কিন্তু, ইন্দোর শহরের এই ভিখারিনী টেক্কা দেবে তাঁকেও।গত দেড় মাসে ইন্দিরা বাইয়ের আয় হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। ভিক্ষা করে বছরে ২০ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। নিজের পাঁচ সন্তানকে ‘জোর করে’ভিক্ষে করানোর দায়ে সম্প্রতি তাঁকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই সামনে আসে মহিলার সম্পত্তির পরিমাণ…
জানা গেছে, দাতাদের মন গলাতে, আগে একটি ক্রাচ নিয়ে ভিক্ষা করতেন ইন্দিরা। কোনও প্রতিবন্ধকতা ছিল না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে বোঝানোর পর, তিনি ক্রাচ ত্যাগ করেছেন, কিন্তু ভিক্ষা করার জন্য তাঁর বাচ্চাদের ব্যবহার করা শুরু করেছেন। আটকের পর অবশ্য তাঁর দাবি, “আমি কোনও চুরি করিনি, আমি শুধু ভিক্ষা করেছি।“এই ভিক্ষাবৃত্তি করে কী কী আয় করেছেন ইন্দিরা? জমি কিনে রেখেছেন, দোতলা বাড়ি আছে, ২০ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয় রোজগারের টাকা বাড়িতেও পাঠান রীতিমত।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ইন্দিরা জানান, গত দেড় মাসে আড়াই লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন তিনি। ১ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন রাজস্থানের বাড়িতে। সেখানেই তাঁর আরও দুই সন্তান মানুষ হচ্ছে। বাকি দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন। ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন ব্যক্তিগত কারণে। স্বামীর উপার্জনে হাত দেন না ইন্দিরা। সন্তানের রোজগারের কানাকড়িও নেন না। ইন্দিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার খবর পাওয়ার পরই স্বামী অমরলাল দুই সন্তান-সহ রাজস্থানে পালিয়েছেন বলে খবর।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ সরকার রাজ্যের শহরগুলিকে ভিক্ষুক মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার জন্য সাত সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর। সেই কাজ করতে গিয়েই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কাউন্সেলিং সংস্থাগুলির দাবি, যেভাবে শহরে শহরে ভিক্ষাবৃত্তির প্রবণতা বাড়ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। অনেকেই ভিক্ষাকে তাঁদের উপার্জনের পথ বলে বিবেচনা করছেন। এটা অত্যন্ত খারাপ মানসিকতা। এতে সমাজে ভুল বার্তা যাচ্ছে।