নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্ববাসী আতঙ্কে। এদিকে কয়েকদিন আগেই ইতালি থেকে আগত করোনা আক্রান্ত এক দম্পতির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে রেট্রোভাইরাল ওষুধ। ফলও মিলেছে বলেই সূত্রের খবর। এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নিশ্চিত করেছেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় রেট্রোভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছুটা হলেও সম্ভাবনা দেখা গেলেও করোনা প্রতিরোধে এই ওষুধ কতটা কার্যকরী, তা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরই বলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মানসরঞ্জন ভুঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের বিষয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন বলেই মনে করছেন বিশিষ্ট মহল। তিনি বলেন, 'পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অনেক দেশই একই ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীনের মতো দেশগুলি মূলত এইডস-এর চিকিৎসায় রেট্রোভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করে। অতি সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে ক্লোরোকুইন।' এটি মূলত এইচআইভি বা এডস রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের আমাদের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে বিশেষ তদন্তে নিয়োজিত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বেশ কিছু করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে এই ওষুধ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ক্লোরোকুইন নিয়ে গবেষণা যে আমেরিকায়ও চলছে সেই কথা শোনা গেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কথায়। তিনি বলেন, 'আমি এটুকু বলতে পারি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই রেট্রোভাইরাল ওষুধ প্রয়োগে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে এই অনুমোদন দিয়েছে, তা নয়। বলা যায়, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের বিজ্ঞানীরাই একত্রে এই কাজ করছেন।'
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার দাবি করেছেন, করোনার প্রতিষেধক টিকা অতি দ্রুত পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর্যায়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও সেই প্রতিষেধক কতটা সফল হবে, তা জানার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।