নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে কর্ণাটক বিধানসভায় বিজেপি’র ভরাডুবিতে চিন্তায় পড়েছে গেরুয়া শিবির৷ চলতি বছর রয়েছে আরও পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন৷ ফলে লোকসভার আগে এই পাঁচ রাজ্যই এখন কেন্দ্রের শাসকদলের পাখির চোখ৷ ভোট আবহেই বড়সড় রদবদল ঘটতে চলেছে৷
পাঁচ রাজ্যের ভোটে জয় নিশ্চিত করতে এখন থেকেই কোমর বাঁধছে গেরুয়া শিবির৷ ভোটে কী কৌশল অবলম্বন করা হবে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ৷ বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, বিএল সন্তোষ সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নিজের বাসভবনে বৈঠকে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকের পর জানা যাচ্ছে, বিজেপির সংগঠন, এমনকী মন্ত্রিসভাতেও রদবদল করা হতে পারে। এবার প্রশ্ন হল, সাংগঠনিক বা মন্ত্রিসভায় রদবদল হলে বাংলার উপর কোপ পড়বে কতটা?
সূত্রের খবর, বুধবার শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে অন্যান্য রাজ্যের মতো এ রাজ্যের চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-জন বার্লা, নীশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুরের পারফরম্যান্স নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শুধুমাত্র মন্ত্রকের দায়িত্ব পালনই নয়, সেই সঙ্গে মন্ত্রীর ভাবমূর্তি রাজ্য রাজনীতিতে এবং সংগঠনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সব কিছুই খতিয়ে দেখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বিজেপির নজর ভোটমুখী পাঁচ রাজ্য রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং তেলঙ্গানায়। যে রাজ্যগুলিতে এখন ভোট নেই, সেখানকার নেতা-মন্ত্রীদের ভোটমুখী রাজ্যে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজস্থানে জাঠ বা গুজ্জর নেতা নয়, বরং ব্রাহ্মণ মুখকেই দলের নেতৃত্বে কিংবা মন্ত্রিসভায় তুলে আনতে পারে বিজেপি। আবার ছত্তীসগঢ়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের কাজে খুশি নয় দিল্লির নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে নতুন মুখ হিসেবে তুলে আনা হতে পারে ওপি চৌধুরীকে৷ সংগঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসতে পারে কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশে৷ এখন মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হলে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিতে পারেন ভোটমুখী রাজ্যের নেতানেত্রীরা৷ সে ক্ষেত্রে দিল্লি সন্তুষ্ট না থাকলে কোপ পড়তে পারে বাংলার বিজেপি মন্ত্রীদের উপরে৷