কলকাতা: করোনা ভাইরাসের জেরে 'স্পর্শ' থেকে বিরত থাকতে হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু হাত ধোয়ার পর আর কোনো জিনিসে হাত দেবোনা তার কি করে সম্ভব? বিশেষত অফিস কাছারিতে যেখানে সবাই বাইরে থেকেই আসে। বিভিন্ন কর্মী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে, বিভিন্ন যানবাহনে আসে। অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে শরীরের যে অঙ্গটিকে সবথেকে বেশি দায়ী করা হচ্ছে তাহলো আমাদের হাত। আর দুটি হাতের স্পর্শেই তেমন নিজেরা আক্রান্ত হতে পারি তেমনই অন্যদের মধ্যেও এই সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারি। তাই কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা সাময়িকভাবে বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে। অন্তত সূত্রের দাবি এমনটাই।
বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে নবান্নের শীর্ষ মহলে। এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও নাকি ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে পাঠানো হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যেই কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা বন্ধ করা হয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড এবং মণিপুর সরকারও এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই সাময়িকভাবে পুরনো নিয়ম মেনেই রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর করে কর্মী-অফিসারদের হাজিরা নথিবদ্ধ করা উচিত বলেই মনে করছেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা।
শুক্রবার নবান্নে করোনা ভাইরাস নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এবিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা না জানালেও এদিনই সরকারি কর্মচারী সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন বা নবপর্যায়ের তরফে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে লিখিতভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। সংগঠনের দাবি, বায়োমেট্রিক হাজিরায় একই মেশিনে অফিসের সমস্ত কর্মচারীদের আঙুলের ছাপ দিতে হয়। তাই সেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে। কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফ থেকেও এবিষয়ে সহমত পোষণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য মে রাজ্য গুলিতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার উদাহরণও তুলে ধরেছে কর্মীসংগঠনগুলি।