reluctant
নয়াদিল্লি: রাজ্যস্তরে শিক্ষক বদলি নিয়ে উল্লেখযোগ্য রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এদিন উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৭ সালের আগে কাজে যোগ দেওয়া মাধ্যমিকস্তরের সহকারী-শিক্ষকদের কোনওভাবেই দূরে বদলি করা যাবে না। শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনিচ্ছাকে মানত্য দিয়েই রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০১৭ সালের আগে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের যদি বদলি করতেই হয়, তাহলে তাঁরা যে জেলায় চাকরি করছেন, সেই জেলার মধ্যেই কাছাকাছি কোনও স্কুলে করতে হবে। অন্য জেলায় পাঠানো যাবে না। শিক্ষক বদলি মামলায় অন্তবর্তী নির্দেশে এমনটাই জানাল শীর্ষ আদালত। আগামী ৫ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি৷ আদালতের নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকারকে লিখিতভাবে জানাতে হবে, কেন এত বদলির প্রয়োজন?
২০১৭ সালে এক সংশোধনীর মাধ্যমে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিসেস কমিশন আইন ১৯৯৭’র ১০সি ধারা-র ভিত্তিতে শিক্ষকদের দূর দূরান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেউ হয়তো চাকরি পেয়েছেন কলকাতা বা হাওড়ায়, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদ বা ২৪ পরগনায়। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিসেস কমিশন আইনের এই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (সেটা)। তাদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শারদ সিংহানিয়াও।
তাঁদের বক্তব্য, ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল (আইন সংশোধন) সংশ্লিষ্ট আইন কার্যকর করা হয়েছে। এর পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের দূরে বদলি করা যেতেই পারে। কিন্তু যাঁরা আগে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কেন বদলি করা হবে? এর পরেই এই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷