ময়নাগুড়ি: পৌষ পর্বনের সকালে দোমোহনির আকাশে বিষাদের সুর৷ চারিদিকে আর্তনাদ৷ ইংরেজি নববর্ষের শুরুতেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী ময়নাগুড়ির দোমোহনি৷
আরও পড়ুন- মাঝরাতেই হাওড়ায় রেলমন্ত্রী, বিশেষ ট্রেনে ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনাস্থলে গেলেন বৈষ্ণব
চারিদিকে ছড়িয়ে চাপ চাপ রক্ত৷ রাতের অন্ধকারে বোঝা না গেলেও, রক্তে বহুবার পা পিছলেছে উদ্ধারকারীদের৷ রাতভর বেজেছে অ্যাম্বুলেন্সের হুটার৷ ভোরের আলো ফুটতে পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হয়েছে৷ এই অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বহু সংগঠন৷ আলিমুদ্দিনের নির্দেশে মাঠে নেমেছে রেড ভলেন্টিয়ার্স৷ রাতেই নেমে পড়েছে দুটি দল৷
আজ ময়নাগুড়ি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রীও৷ রাতেই আহতদের খবর নিতে পৌঁছন উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। সমানতালে কাজ করে চলেছে রেজ ভলেন্টিয়ার্সরা৷ আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় রক্তের জোগানে দিতে আশেপাশের সমস্ত হাসপাতালে রক্তদাতাদের নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন৷ সেই নির্দেশ মেনেই চলছে কাজ৷
করোনা আবহে আর্তদের পাশে দাঁড়াতে রেড ভলেন্টিয়ার্স দল গড়েছিল সিপিএম৷ কার অক্সিজেন লাগবে, কার ওষুধ, কিংবা খাবার, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁরা৷ করেছেন স্যানিটাইজেশনের কাজও৷ সেই রেড ভলেন্টিয়ার্স এবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়লেন৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জলপাইগুড়ি ও সংলগ্ন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরেই পার্টির সদস্য ও কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছে বাম নেতৃত্ব৷ সেই নির্দেশ মেনে এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে অকুস্থল লাগোয়া এলাকার রেড ভলেন্টিয়ার্স দল৷ দলের তরফে তাঁদের প্রয়োজনীয় রক্ত ও খাবারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, শুধু করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যেই নয়। যে কোনও বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতেই গড়ে উঠেছে রেড ভলেন্টিয়ার্স দল।